নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা পৌর যুবলীগ নেতা তুহিনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার মাতা শহরের ইটাগাছা এলাকার মৃত. আতিয়ার রহমানের স্ত্রী পারভীন আক্তার। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমার পুত্র তুহিন রাজনীতি শুরু করে পরিশ্রম করে পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হয়। কিন্তু তার রাজনৈতিক উন্নতিতে একটি কুচক্রী মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। বর্তমানে তুহিন এস এম বসির আহমেদের মালিকানাধীন সংগ্রাম টাওয়ার ভাড়া নিয়ে আবাসিক হোটেল এবং জেন্টস পার্লার এর ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। সেখান থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে চলে আমাদের সংসার। সেখানেই কাজ করতো বড় ছেলে শাহীনুর রহমান। এছাড়া সেখানে আরো অনেক যুবক কাজ করতো। কিন্তু তুহিনের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গত ৭/১০/২০১৯ তারিখে পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে ওই টাওয়ারে অভিযান পরিচালনা করেন। সেখান থেকে ১ জন মহিলাসহ ৭ জনকে পতিতাবৃত্তির অভিযোগে আটক করে পুলিশ। সেখান থেকে যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে অধিকাংশই হোটেলের কর্মচারী এবং ওই মহিলা গত রাতেই তার স্বামীর পরিচয়ে এক যুবককে সাথে নিয়ে হোটেলে ওঠেন। যদি সেখানে পতিতাবৃত্তি হবে তাহলে ঘটনাস্থলে আরো মহিলা থাকার কথা। অথচ পেয়েছে একজন নারীকে। একজন নারীকে দিয়ে কি পতিতাবৃত্তি পরিচালনা করা সম্ভব? তাছাড়া দিনের বেলায় প্রকাশ্যে কিভাবে পতিতাবৃত্তি করা যায় সেটা আমার জানা নেই। আমার ছেলে অত্যান্ত সুনামের সাথে দীর্ঘদিন ধরে ওই হোটেল ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এতদিন তার বিরুদ্ধে এধরনের কোন অভিযোগ ছিলো না। অথচ যখনই জেলা যুবলীগের আহবায়ক মান্নানের সাথে তুহিনের মতানৈক্য সৃষ্টি হলো। তখনই তুহিনের বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ উঠতে শুরু হলো। আর তারই ষড়যন্ত্রের কবলে পড়ে আমার কলিজার টুকরো তুহিন আজ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে। আমাদের আয়ের একমাত্র প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হওয়ায় বর্তমানে আমরা না খেয়ে জীবন-যাপন করছি। এঘটনা তুহিনকে আসামীকে একটি মানব পাচার মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমার পুত্র হোটেল পরিচালনা করে। অথচ তার বিরুদ্ধে কিভাবে মানব পাচার মামলা কিভাবে হলো এটা আমার জানানেই। তবে একটি স্বার্থন্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে থাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে একটি সাতক্ষীরাবাসী বুঝতে পারলেও অজানা কারণে মুখে কুলুব এটে আছেন। আমরা এখনো সাতক্ষীরার প্রাণ সায়র এর পাশে সরকারি খাস জমিতে বসবাস করি। অথচ প্রচার করা হচ্ছে আমার নামে নাকি ৩০লক্ষ টাকার এফডিআর রয়েছে। তুহিন আয় করে লক্ষ লক্ষ টাকা তার মায়ের একাউন্টে জমা করেছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। যদি এত টাকা থাকবে তাহলে সরকারি খাস জমিতে কেন থাকবো? আর এখন কেন খেয়ে না খেয়ে জীবন কাটাবো। সাতক্ষীরার সকল গোয়েন্দা বিভাগসহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন মহলের কাছে আকুল আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা তদন্তকরুন যদি আমার নামে ৩০লক্ষ নয় ১শত টাকা ব্যাংকে জমা আছে এর প্রমান পান তাহলে আপনারা যে সাজা দিবেন তা মাথা পেতে নেবো।