খেলার খবর: খালেদ মাহমুদ সুজন। বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম বড় নাম। অবসর নেয়ার পর ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত আছেন সাবেক এই অলরাউন্ডার। বহুবিদ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা বিতর্কেও জড়ানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
তিন দিনের ধর্মঘটে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে অচলাবস্থা বিরাজ করছিল। গত পরশু রাতে সবকিছু সমাধান হয়। এর আগে সুজন বলেছিলেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিং আর পাতানো ম্যাচের অভিযোগও নাকি খেলোয়াড়দেরই সাজানো নাটক! ধর্মঘটের প্রথম দুদিন তিনি এভাবেই ক্রিকেটারদের দায়ী করে আসছিলেন। তার এমন বক্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষিপ্ত ছিলেন ক্রিকেটাররা। বোর্ডের সঙ্গে বুধবারের বৈঠকে আবারও আপত্তিকর মন্তব্য করে সাকিবদের তোপের মুখে পড়েন খালেদ মাহমুদ সুজন। তাকে এক হাত নেন বিসিবি সভাপতিও। গত ২২ অক্টোবরের সংবাদ সম্মেলনে পাপন এক পর্যায়ে স্বীকার করেন, বিসিবির পরিচালক হয়েও জাতীয় দলের ম্যানেজার হিসেবে খালেদ মাহমুদের বেতন নেয়া, ঘরোয়া ক্রিকেটে বিভিন্ন দলের কোচিং করানো স্বার্থের সংঘাত সৃষ্টি করছে। পরদিন ক্রিকেটারদের সঙ্গে সভায় সুজন বারবার খেলোয়াড়দেরই অভিযোগের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা করলে এক পর্যায়ে তার ওপর খেপে যান বোর্ড সভাপতি।
উচ্চ স্বরে তিনি বলে ওঠেন, ‘চুপ করো। তুমি আর কথা বলবা না। একটা কথাও না। তোমার লজ্জা লাগে না! টাকা নাও আবার কথা বলো! আমাকে অনেক ভুল বুঝাইছ এতো দিন।’