ভিণ্ন স্বাদের খবর: টাঙ্গাইলের গোপালপুরে আলোচিত জামাই-শাশুড়ির বিয়ের ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের তালুকদারসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (২৭ অক্টোবর) সকালে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোপালপুর আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন শাশুড়ি মাজেদা বেগম।
মামলা দায়েরের পর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোপালপুর আমলি আদালতের বিচারক ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামসুল আলম গোপালপুর থানাকে বিষয়িটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানবীর আহম্মেদ জানান, আইন লঙ্ঘন করে বিয়ে, ধর্ম অবমাননা ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়েছে মামলার এজাহারে। গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান কাদের তালুকদার, নিকাহ রেজিষ্টার, নিকাহ রেজিষ্টারের সহকারী কাজী ও ইউপি সদস্যসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের কাছে বেশকিছু প্রমাণ রয়েছে। আশা করছি এ মামলায় আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২ অক্টোবর গোপালপুর উপজেলার কড়িয়াটা গ্রামের নূর ইসলামের মেয়ে নূরন্নাহার খাতুনকে (১৯) বিয়ে করেন ধনবাড়ী উপজেলার হাজরাবাড়ী পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলে মোনছের আলী (৩২)। বিয়ের পরদিন শাশুড়ি মাজেদা বেগম বেড়াতে যান মেয়ের বাড়িতে। সেখানে এক সপ্তাহ অবস্থানের পর শুক্রবার (১১ অক্টোবর) মেয়ে ও জামাইসহ বাড়িতে ফেরেন মাজেদা। পরদিন ১২ অক্টোবর সকালে নূরন্নাহার স্বামী মোনছেরের সংসার করবেন না বলে আপত্তি তোলেন। এরপর শুরু হয় পারিবারিক কলহ।
একপর্যায়ে শাশুড়ি মাজেদা মেয়ের জামাই মোনছের আলীর সংসার করার সম্মতি প্রকাশ করেন। পরে বাড়িতে ডাকা হয় গ্রাম্য শালিশ। সালিশ বৈঠকে শাশুড়ি ও জামাতার মধ্যে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলে তাদের মারধর করা হয়। এরপর নূরুন্নাহারকে তালাক দিতে মোনছের আলীকে এবং তার শাশুড়িকে তালাক দিতে শ্বশুরকে বাধ্য করা হয়। পরে বৈঠকে মোনছের আলী ও তার শাশুড়ির বিয়ের রেজিষ্ট্রি সম্পন্ন করেন কাজী গোলাম মওলা জিনহা।