নিজস্ব প্রতিবেদক: যুদ্ধাপরাধসহ অর্ধশত নাশকতা মামলার পলাতক আসামি জামায়াত নেতা কুখ্যাত রাজাকার মাওলানা আকবর আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি কালিগঞ্জ উপজেলার ইন্দ্রনগর গ্রামের মুত শেখ জবেদ আলীর পুত্র।
১০টি মামলায় তার বিরুদ্ধে কালিগঞ্জ থানায় গ্রেফতারি পরোয়ানা মূলতবি আছে।
তার বিরুদ্ধে গত ১ অক্টোবর ডেইলি সাতক্ষীরায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন- নলতায় ১৯৭১ সালে রাজাকার আকবর আলীর লোমহর্ষক নৃশংসতা
আকবর আলী যুদ্ধাপরাধী মামলাসহ ২০১৩ সালে নাশকতায় অভিযোগে সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন থানায় প্রায় ৫০ টিরও বেশি মামলায় আত্মগোপনে ছিলেন। তবে তিনি আত্মগোপনে থেকেও তার পুত্রদের সহযোগিতায় স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ৩৭ লক্ষ ৭৭ হাজার ৫০৫ টাকা কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর ভাতা উত্তোলন করেছেন। বুধবার রাত ১০ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ব্রজবক্স গ্রামে তার মেয়ের বাড়ি থেকে এক যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই), সাতক্ষীরা এই অভিযানে অংশ নেয়। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম(বার) নিজে এই অপারেশনের নেতৃত্ব দেন। এছাড়াও অপারেশনে সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ, এসবি, কলারোয়া থানা পুলিশের একাধিক দল অংশগ্রহণ করেন। আকবর আলীর বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে যুদ্ধাপরাধের মামলা দায়ের হয়, যার নং জিআর ৯২/৯, কালিগঞ্জ। ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলে মাওলানা আকবর নিজেকে বাঁচাতে আত্মগোপনে চলে যান। এরপর ২০১৩ সালে বিএনপি-জামাতের নেতৃত্বে দেশে নাশকতা শুরু হলে রাজাকার মাওলানা আকবর আলী সরকার পতনের লক্ষ্যে জামায়াতের হাইকমান্ডের নির্দেশে আবারো এলাকায় ফিরে নাশকতায় অংশগ্রহণ করেন। এরপর পলাতক থাকা অবস্থায় পেনশনের প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তোলন করেন। দীর্ঘদিন ধরে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা তাকে খুঁজছিল।