খেলা

সাকিবকে বিপদে ফেলা দীপক আগারওয়াল আসলে কে?

By Daily Satkhira

October 31, 2019

খেলার খবর: ম্যাচ তিনি পাতাননি, জুয়াড়ির কাছ থেকে কোনও টাকাও নেননি, এরপরও আইসিসি বড় শাস্তি দিয়েছে সাকিব আল হাসানকে। কারণ জুয়াড়ির সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি ‘গোপন’ করে গিয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। বেশ কয়েকবার দীপক আগারওয়াল নামের এক জুয়াড়ি যোগাযোগ করলেও বিষয়টি আমলে না নেওয়ার খেসারত দিতে হয়েছে তাকে।

কে এই দীপক আগারওয়াল? সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগই বা হলো কিভাবে? সাকিবের নিষেধাজ্ঞার শাস্তির পর এই প্রশ্নগুলো অনেকের মনে দানা বাঁধছে। শুধু সাকিব ইস্যু নয়, ভারতের এই জুয়াড়ির কারণে আত্মহত্যার ঘটনাও আছে!

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে বেরিয়ে এসেছে বেশ কয়েক বছর আগের আরেকটি কালো অধ্যায়। সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা এই আগারওয়ালের কারণেই নাকি বিজয় কুমার নামের এক জুয়াড়ি আত্মহত্যা করেছিলেন। ভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমের খবর, ২৯ বছর বয়সী বিজয় রাজস্থানের উদয়পুরে নিজের বাড়িতে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন।

‘সুইসাইড নোট’-এ বিজয় লিখে গিয়েছিলেন এই আগারওয়ালের নাম। সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ ও তার নিষেধাজ্ঞায় আগারওয়ালের নাম উঠে আসায় পুরোনো ওই ঘটনা আবার সামনে এসেছে। সেসময় ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে উদয়পুর সিটির অতিরিক্ত এসপি তেজরাজ সিং জানিয়েছিলেন, সুইসাইড নোটে আগারওয়াল তাকে জোর করে ৫ লাখ টাকা বাজিতে লাগানোর কথা লিখে গিয়েছিলেন বিজয়।

তেজরাজ সিং বলেছিলেন, ‘সুইসাইড নোটে বিজয়ের দাবি ছিল, তিনি এক জুয়াড়ির কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা ধার নেওয়ার পর হতাশায় ছিলেন। সেখানে তিনি একজন জুয়াড়ির নাম স্পষ্ট করেছিলেন, তিনি দীপক আগারওয়াল। এই দীপক তাকে জোর করে বাজি ধরতে বাধ্য করেছিল।’

তিনি আরও বলেছিলেন, ‘সুইসাইড নোটে বিজয় কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেছিলেন, দীপকের কাছ থেকে টাকা ফেরত এনে যেন তার পরিবারকে দেওয়া হয়।’

ওই ঘটনার পর পুলিশ অবশ্য খুব একটা পদক্ষেপ নেয়নি। যদিও পুলিশের হাতে বেশ কয়েকবার ধরা পড়েছেন আগারওয়াল। সবশেষ ২০১৭ সালের এপ্রিলে ম্যাচ পাতানোয় জড়িত থাকার সন্দেহে দুই সঙ্গী সহ আগারওয়ালকে আটক করেছিল পুলিশ। কিন্তু পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ না মেলায় কিছুদিন পরই ছাড়া পেয়ে যান তিনি। ছাড়া পাওয়ার পরই নাকি তিনি যোগাযোগ করেন সাকিবের সঙ্গে।

মঙ্গলবার সাকিবকে নিষিদ্ধ করার সঙ্গে এক বিবৃতিতে পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে আইসিসি। যেখানে জানানো হয়েছে, ২০১৭ সালের নভেম্বরে প্রথম সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করেন আগারওয়াল। সাকিবের ঘনিষ্ঠ কারও কাছ থেকে নম্বর পেয়েছিলেন এই জুয়াড়ি। এই যোগাযোগই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের জন্য।