অনলাইন ডেস্ক: সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞা মেনে নিতে পারছেন না এ দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। গত বুধবার শাস্তির খবর পাওয়ার পর থেকে ক্ষুব্ধ ভক্তকূল। সেদিন রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ গড়ে তুলছেন তাঁরা। এমন পরিস্থিতিতে ভক্তদের শান্ত করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বার্তা দিলেন সাকিব। নিজের কঠিন সময়ে ভক্তদের ভালোবাসার প্রশংসা করে সবাইকে ধৈর্য ধরে শান্ত থাকার অনুরোধ করেছেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
জুয়াড়িদের প্রস্তাব গোপন করায় সাকিবকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। অবশ্য ভুল স্বীকার করায় সাজার মেয়াদ এক বছর কমেছে। সাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসের মধ্যে তিনবার ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পান সাকিব। কিন্তু একবারও তা বিসিবি বা আইসিসিকে জানাননি তিনি। এই না জানানোই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলাফল ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞা।
এমন খবরে দেশের ক্রিকেট প্রেমীরা যখন ক্ষুব্ধ তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আজ শনিবার একটি স্ট্যাটাসে সবাইকে শান্ত থাকতে অনুরোধ করেছেন সাকিব আল হাসান। তিনি লিখেছেন, ‘আমার ও আমার পরিবারের খুব কঠিন সময়ে আপনাদের নিঃশর্ত সমর্থন ও ভালোবাসা আমাকে স্পর্শ করেছে। নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার অর্থ কী, অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে তা গত কয়েক দিনে আমি আগের চেয়ে বেশি বুঝতে পেরেছি।’
সাকিবের নিষেধাজ্ঞার পেছনে অনেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের হাত আছে বলে সন্দেহ করছে। তবে সাকিব তাঁর স্ট্যাটাসে স্পষ্ট করলেন, আইসিসির দেওয়া নিষেধাজ্ঞায় বিসিবির কোনো হাত নেই। তিনি লেখেন, ‘আমি আমার সব সমর্থককে, যারা আমার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞায় ক্ষুব্ধ, তাদের শান্ত থাকার ও ধৈর্য ধরার অনুরোধ করছি। আমি আপনাদের এটা পরিষ্কার করতে চাই যে, আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটের গোটা তদন্ত একবারে গোপনীয় ছিল। নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার অল্প কিছুদিন আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এটা আমার কাছ থেকে জানতে পেরেছে।’
তিনি আরো লিখেছেন, ‘আমি বুঝতে পারছি, কেন অনেক মানুষ আমাকে সহায়তার প্রস্তাব দিচ্ছে। আমি একে স্বাগত জানাই। যাই হোক, এখানে একটি প্রক্রিয়া আছে। আমি আমার ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা মেনে নিয়েছি কারণ, আমি মনে করি এটাই ছিল সঠিক কাজ। এখন আমার সম্পূর্ণ মনোযোগ ক্রিকেট মাঠে ফেরা ও ২০২০ সালে বাংলাদেশের হয়ে খেলার দিকে। এর আগ পর্যন্ত আপনারা আমাকে আপনাদের প্রার্থনা ও হৃদয়ে রাখুন। সবাইকে ধন্যবাদ।’
আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিট আকসুর রায় অনুযায়ী আগামী ১২ মাস সব ধরনের ক্রিকেট-সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে হবে সাকিবকে। এই সময়ে দুর্নীতিবিরোধী ইউনিট আকসুর বিভিন্ন শিক্ষামূলক কাজে অংশ নেবেন তিনি। ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে আবারও খেলায় ফিরতে পারবেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।