সাতক্ষীরা

বয়ারসিংহে কয়েক পরিবারের জমি দখল করে আছে লেনিন- সামছুর বাহিনী

By daily satkhira

November 06, 2019

নিজস্ব প্রতিনিধি: অন্যায়, অত্যাচার, জালিয়াতি ও নির্যাতনের মুখে শ্যামনগরের আটুলিয়া ইউনয়নের বয়ারসিং গ্রামের কয়েকটি পরিবারের ২৯ একর জমি লেনিন- সামছুর বাহিনীর দখলে চলে গেছে। এখন তারা আদালতের রায়ও মানছে না। পরিবারগুলি জমি জিরাত হারিয়ে পথে বসেছে। অথচ লেনিন-সামছুর বাহিনী তাদের জমি কামড়ে ধরে আছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন বয়ারসিং গ্রামের জমির মালিক সুকুমার বিশ^াস। এ সময় তার সাথে ছিলেন সীতা রানী বিশ^াস, খোকন বিশ^াস, বাবু বিশ^াস, গনেশ বিশ^াস, পবিত্র বিশ^াসসহ গ্রামের লোকজন। সংবাদ সম্মেলনে সুকুমার বিশ^াস তার লিখিত বক্তব্যে বলেন আলোচিত জমিতে ২০১৪ সালে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। বিবাদী লেনিন- সামছুর বাহিনীকে সেখানে যেতে বারিত করেছেন আদালত। এমনকি প্রতিপক্ষের রীটও উচ্চ আদালতে খারিজ হয়ে গেছে। তারপর জমি ছাড়ছে না তারা। উল্টো তারা বলছে বাড়াবাড়ি করলে ফল ভালো হবে না। তারা জমিতে অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে সুকুমার বিশ^াস তার লিখিত বক্তব্যে বলেন শ্যামনগরের তালবাড়িয়া মৌজায় সিএস ৬৪ খতিয়ানে ২৯ একর জমির একক স্বত্ত্বের মালিক বাউল বিশ^াস। তার তিন ছেলে সন্যাসী বিশ^াস,অভয় বিশ^াস ও নীলম্বর বিশ^াসকে রেখে তিনি মারা যান। তিনি বলেন আর এস খতিয়ানের ৪৯১ দাগে বাউল বিশ^াসের পুত্র ও পৌত্র বীরেন্দ্র, ধীরেন্দ্র, সর্বেশ^র, সুপদ, প্রফুল্ল, দেবেন্দ্র, মান্যবর, রাজেশ^র বসবাস করেন। কিন্তু ১৯৬২ এর রেকর্ড তাদের নামে না হয়ে ভ্রমাত্মকভাবে সরকারের নামে হয়। তাদের নামে রেকর্ড না হবার সুযোগে কাশিমারি গ্রামের আবদুল খালেক, জব্বার গাজি ও বারী গাজি এবং খালেক গাজির ছেলে সামছুর গাজি ও তার জামাতা লেনিন একটি জাল বয়নামা সৃষ্টি করে তাদের বাস্তুভিটাসহ ২৯ একর জমি দখল করে নেয়। এর আগে লীজ নেওয়ার নাম করে তারা জমিতে ঢোকে। সুকুমার জানান এ বিষয়ে শ্যামনগর সহকারির জজ আদালতে ২৭/৯৭ নম্বর মামলা করে তিনি রেকর্ড সংশোধন ও স্বত্ত্ব প্রচার দাবি করেন। কিন্তু মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। পরে ধীরেন্দ্র নাথ বিশ^াস ২৩/১১ নম্বর মামলা করলে সাতক্ষীরা সহকারি জজ আদালত সেখানে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন এবং প্রতিপক্ষের জাল জালিয়াতির কাগজপত্র সেফ কাস্টডিতে রেখে দেন। প্রতিপক্ষ এ ব্যাপারে হাইকোর্টে রীট করলে তা খারিজ হয়ে যায়। কিন্তু এর পরও লেনিন-সামছুর বাহিনী তাদের জমি ছাড়ছে না। সুকুমার বিশ^াস এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে অভিযোগ করেছেন। তিনি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের সহায়তা কামনা করেছেন।