ফিচার

শ্যামনগরে আশ্রয় কেন্দ্র থেকে ফেরার পথে ১ জনের মৃত্যু, ১৬ হাজার বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত

By Daily Satkhira

November 10, 2019

আসাদুজ্জামান: কম শক্তি নিয়ে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। শনিবার রাত ৩ টার দিকে বুলবুলের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে সুন্দরবন ও তৎসংলগ্ন জনপদ। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান জানান, ঝড়ের দাপটে গাবুরা ইউনিয়নের ৮০ শতাংশ কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্থ হয়েছে। দুর্গাবাটি, দাঁতিনাখালি ও চৌদ্দরশি বাঁধ মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

তিনি আরও জানান, নদীতে এ সময় ভাটা থাকলেও ঝড়ের তান্ডবে নদীর পানি বেড়িবাঁধ পর্যন্ত ছুঁয়ে যায়। জোয়ারে নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে জরাজীর্ণ বেঁড়িবাধ ভেঙে জলোচ্ছ্বাসের আশংকা দেখা দেয়।

তিনি আরও জানান, রাস্তায় গাছ পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পুরো এলাকা বিদ্যুত ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গাবুরা, পদ্মপুকুর, আটুলিয়া, কাশিমারিসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের শত শত একর চিংড়ি ঘের, আমনধান ও রবি শস্যের ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। তিনি আরও জানান, ঝড় না থামলে উদ্ধার তৎপরতা চালানো সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে বুলবুলের আঘাতে কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। তবে সকালে আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরার সময় সাতক্ষীরায় গাবুরায় আবুল কালাম (৬০) নামের এক ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ ছাড়া বাড়িঘর পড়ে আরো কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

সাতক্ষীরা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, উপকুলীয় এলাকায় ১৬ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে ২২ হাজার স্বোচ্ছাসেবক, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, নৌবাহিনী ও ১০০ জন সেনা সদস্য উপকুলীয় এলাকায় জানমাল রক্ষায় কাজ করছেন। এছাড়া সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ সড়কে ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছ সরিয়ে নিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃস্থাপনের জন্য সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।