নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী এম কে আশেক নওয়াজ ও তার স্ত্রী মোছা. নিলুফা ইয়াসমিনচার প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ স্বাস্থ্য অধিদফতরের ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের স্ত্রীদের অবৈধ সম্পদের খোঁজ নিতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত ৭ নভেম্বর দুদক পরিচালক কাজী শফিকুল আলম স্বাক্ষরিত পৃথক নোটিশ তাদের বর্তমান ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে। যেখানে আগামী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক মো. শামসুল আলমের নেতৃত্বে একটি টিম তাদের অবৈধ সম্পদের অভিযোগ অনুসন্ধান করছেন। দুদকের জনসংযোগ দফতর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
যাদের নামে সম্পদ বিবরণী নোটিশ পাঠানো হয়েছে তারা হলেন- সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী এম কে আশেক নওয়াজ ও তার স্ত্রী মোছা. নিলুফা ইয়াসমিন, খুলনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসাপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান ও তার স্ত্রী শামীমা নার্গিস, চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন শাখার উচ্চমান সহকারী মো. রেজাউল ইসলাম ও তার স্ত্রী মিসেস রুনা খানম, কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান ও তার স্ত্রী মিসেস রওনক জাহান শাহীন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের হিসাবরক্ষক মো. মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী ফরিদা আক্তার, চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন শাখার প্রধান সহকারী মো. খায়রুল আলম ও তার স্ত্রী দিলারা আলম সুমি, স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (প্রশাসন-২) মো. কবির আহমেদ চৌধুরী ও তার স্ত্রী রুবিনা শিরিন, জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সী সাজ্জাদ হোসেন ও তার স্ত্রী ফারজানা হোসাইন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী প্রধান (মহাপরিচালক দফতর) মো. জোবায়ের হোসেন ও তার স্ত্রী শাহানা সুলতানা।
নোটিশে বলা হয়, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিক অনুসন্ধান করে কমিশনের বিশ্বাস জন্মেছে যে, তারা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন। তাই নোটিশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের নিজের, নির্ভরশীল ব্যক্তির যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণ নির্ধারিত ফরমে দাখিল করতে হবে।