আশাশুনি

আশাশুনির থানা এ.এস.আই মোকাদ্দেস ও হাসেম ঢালীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

By daily satkhira

November 13, 2019

প্রেস বিজ্ঞপ্তি ঃ আশাশুনির থানা পুলিশের এ.এস.আই মোকাদ্দেসের বিরুদ্ধে আর্থিক সুবিধা নিয়ে কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই নন-জিআর মামলা দিয়ে সাধারন মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, আশাশুনি উপজেলা সদরের আমিরুল ইসলামের স্ত্রী ভুক্তভোগী মারুফা খাতুন। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি আশাশুনি মৌজায় (উপজেলা সংলগ্ন) সরকারের কাছ থেকে খাস জমি ইজারা নিয়ে দীর্ঘদিন ভোগদখল করে আসছিলাম। কিন্তু গত কয়েক বছরর পূর্বে প্রতাপনগর থেকে উড়ে আসা চিহ্নিত ভূমিদস্যু হাসেম ঢালী কোন প্রকার ইজারা না নিয়ে সরকারি সম্পত্তি দখল করে সেখানে তিনতলা বিশিষ্ট বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেন। এরপর তার আমার দখলীয় সম্পত্তির উপর ক-ুনজর পড়লে তিনি জোরপূর্বক আমার সম্পত্তি দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে তিনি আশাশুনি থানার দুর্নীতিবাজ পুলিশ অফিসার এ.এস.আই মোকাদ্দেস হোসেনকে ম্যানেজ করে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে আমার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই এ.এস.আই মোকাদ্দেস আমার বিরুদ্ধে জুডিশিয়াল আদালতে (আশাশুনি) একটি মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে সেখানে একটি নন-জিআর মামলা দায়ের করান। এরপর গত ০৩/১১/২০১৯ তারিখে আমার বাড়িতে একটি নোটিশ যাওয়ার পর আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর আমি এবিষয়ে মোকাদ্দেসের কাছে গেলে তিনি আমাকে বলেন, তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না দেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আপনিও হাসেম ঢালীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেন। আমি সেটি নন জিআর মামলা করিয়ে দিচ্ছি। তিনি বলেন, এ.এস.আই মোকাদ্দেস শুধু আমাকে নয় একইভাবে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে আশাশুনি উপজেলার একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এধরনের মিথ্যা মামলা দায়েরে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাথমিক বিভাগের একজন কর্মকর্তা এবং পাইকগাছার চাঁদখালী গ্রামের রাহাজ্জান আলীর বিরুদ্ধে একইভাবে অর্থের বিনিময়ে নন-জিআর মামলা দায়েরে সহযোগিতা করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা এ.এস.আই মোকাদ্দেসের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগও দায়ের করেন। তিনি আরো বলেন, হাসেম ঢালী আশাশুনির বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাদের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে তার অপকর্ম অব্যাহত রেখেছে। ইতোপূর্বে তিনি কয়েকবার ভাড়াটিয়া বাহিনী নিয়ে আমার বাড়িঘর ভাংচুরসহ মারপিট করে আমাকে গুরুতর আহত করেন। এ সব ঘটনায় আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে। এমতাবস্থায় তিনি ভুমিদস্যু হাসেম ঢালী ও দুর্নীতিবাজ পুলিশ অফিসার মোকাদ্দেসের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।##