প্রেস বিজ্ঞপ্তি ঃ কালিগঞ্জে পরোকিয়ায় বাধা দেওয়ায় লম্পট স্বামী ও তার ভাইবোনদের হাতে নির্মমভাবে নিহত মনিরার হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে মায়ের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী জানান, উপজেলার পরমানন্দকাটি গ্রামের খান কেরামত আলীর স্ত্রী করিমন বেগম। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিগত আনুমানিক ১০ বছর পূর্বে আমার বড় কন্যা মনিরা খাতুনকে একই উপজেলার কাঠাখালী গ্রামের শেখ আব্দুর রশিদে পুত্র শেখ বাহাউদ্দীনের সাথে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ প্রদান করি। বিবাহের পর আমার কন্যা জানতে পারে বাহাউদ্দীন একজন চরিত্রহীন লম্পট। সে তার ছোট ভাই শেখ আরফা উদ্দীনের স্ত্রী খাদিজা বেগমের সাথে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত রয়েছে। এ বিষয়ে আমার কন্যা প্রতিবাদ করলে বাহাউদ্দীন আমার কন্যাকে শারিরীক ও মানষিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। এনিয়ে স্থানীয় ভাবে কয়েকবার শালিশী বৈঠক হলেও লম্পট বাহাউদ্দীন তার চরিত্র না বদলে ওই খাদিজা খাতুনের সাথে অবৈধ সম্পর্ক অব্যাহত রাখে। এদিকে, বাহাউদ্দীনের ঔরশে আমার কন্যার কোল জুড়ে একটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। বাহাউদ্দীনকে এই কন্যা সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সুপথে আসার অনুরোধ জানালেও ওই লম্পট আমার কন্যার কথায় কথায় কর্ণপাত না করে প্রায়ই তাকে মারপিট করতে থাকে। একপর্যায়ে গত ১২/৮/১৯ তারিখে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাহাউদ্দীন তার দুই ভাই শেখ সাহাবুদ্দীন, শেখ নাছির উদ্দীন, বোন সাহিদা খাতুন ও শেখ আরফা উদ্দীনের স্ত্রী খাদিজা খাতুনের সহযোগিতায় লাঠি সোটা নিয়ে আমার কন্যা মনিরা খাতুনকে মারপিট করতে থাকে। একপর্যায়ে উল্লেখিত ব্যক্তিদের সহযোগিতায় বাহাউদ্দীন আমার কন্যাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। সে সময় মনিরা খাতুনের শিশু কন্যা তাদের হাত থেকে তার মাতাকে বাঁচানোর জন্য কাকুতি মিনতী করেও ব্যর্থ হয়। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে কালিগঞ্জ থানায় ৫জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করি। ইতিমধ্যে ময়না তদন্তের রিপোর্টে মনিরাকে মারপিট করে হত্যা করা হয়েছে মর্মে উল্লেখও করা হয়েছে। অথচ চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের প্রায় ৩ মাস অতিবাহিত হলেও হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। হত্যাকারীরা বর্তমানে বীরদর্পে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমি একজন অসহায় সন্তান হারা মা। বর্তমানে এই মামলা তুলে নেয়ার জন্য তারা আমাকেসহ পরিবারের অন্যদেরকে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকিও প্রদর্শন করছেন। বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। এমতাবস্থায় তিনি তার কন্যার হত্যাকারীদের গ্রেফতার পূর্বক দ্রুত বিচার এবং তাদের জীবনের নিরাপত্তা দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।