কালিগঞ্জ

নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠান বানচালের চেষ্টায় কুচক্রী মহল!

By Daily Satkhira

April 02, 2017

নিজস্ব প্রতিবেদক : জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠান আগামী ৬ ও ৭ এপ্রিল বৃহস্পতি এবং শুক্রবার বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের মিলন মেলা কে বানচাল করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এক শ্রেণির কুচক্রী মহল বলে কানাঘুশা হচ্ছে এলাকায়। ঐতিহ্যবাহী নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠান সম্পর্কে বিদ্যালয়টির প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং সাতক্ষীরা-৩ আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আলহাজ্জ অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক এর কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, আমরা যারা এই প্রতিষ্ঠান থেকে লেখা পড়া শেষ করেছি এবং সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছি তারা এক সাথে মিলিত হবার প্রচেষ্টা করছি যাতে বর্তমান প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা আমাদের দেখে ভালভাবে পড়া লেখা করতে উৎসহি হয়। সেই সাথে সোনার বাংলা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজে ভুমিকা রাখতে পারে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো আমদের অঞ্চলের কিছু কুচক্রী মহল যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না যারা জঙ্গিবাদে বিশ্বাস করে এলাকার উন্নয়ন চায় না এমন এক শ্রেণির মহল ঐতিহ্যবাহী নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠান বন্ধ এবং বানচাল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। উল্লেখ্য যে, অবিভক্ত বাংলার খুলনা জেলাধীন সাতক্ষীরা মহুকুমার কালিগঞ্জ থানার নলতা গ্রামের জমিদার বাবু ভঞ্জ চৌধুরী ১৯১৭ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করেন। পরে অবিভক্ত বাংলার সহকারী ডিরেক্টর হযরত সাহসুফী আলহাজ্জ খানবাহাদুর আহছান উল্লাহ (রহ:) কতৃক বিদ্যালয়টির ছাত্র সংগ্রহ,হোষ্টেল নির্মাণ,বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ সহ বহু উন্নতি সাধিত হয় ।১৯১৯ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক বিদ্যালয় স্থায়ী স্বীকৃতি লাভ করে ।১৯১৭ সাল থেকে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন বিখ্যাত শিক্ষাবিদ বাবু জ্ঞানেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। ১৯৪৩ সাল থেকে বাবু বিজয় নাথ মুখার্জি এবং বাবু তারাপদ মুখার্জি ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। দেশ বিভাগের পর অত্র প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বভার গ্রহনের জন্য হযরত পীর কেবলা আলহাজ্জ মো: দরবেশ আলীকে অনুরোধ করেন। ফলশ্রুতিতে ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত আলহাজ্জ মোহা: দরবেশ আলী অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন এবং তার প্রচেষ্টায় অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সাতক্ষীরা জেলা তথা বাংলাদেশের মধ্যে একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচিতি লাভ করে।