শ্যামনগর

কাশিমাড়ীতে প্রতিপক্ষের বসতবাড়ি ভাঙচুর ও মারপিটের অভিযোগ

By daily satkhira

November 16, 2019

ডেস্ক রিপোর্ট: দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় জমি আদালতে বিচারাধীন থাকায় আদালতের নোটিশ পেয়ে প্রতিপক্ষের বসতবাড়ি ভাঙচুর ও মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী পল্লীর ঘোলা গ্রামে।

সরেজমিনে পরিদর্শন ও প্রত্যক্ষদর্শীর সুত্রে জানা যায়, ঘোলা গ্রামের মৃত আহম্মাদ গাজীর ছেলে আজিজুল হক গাজীর দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় এবং নিজ মালিকানাধীন জমি নিয়ে প্রতিপক্ষ পার্শ্ববর্তী মৃত সাবের গাজীর ছেলে মোসলেম গাজী গংদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এরই সুত্রধরে প্রতিপক্ষ মোসলেম গাজী ও তার সহযোগীরা আজিজুল হক গাজীর বসতভিটা দখলে নেওয়ার অপচেষ্টা চালানো সহ প্রায় সময় তাদেরকে বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ করার পাঁয়তারা চালায়। তাদেরকে মোসলেম গাজী ও তার সহযোগিরা এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রায় সময় খুন জখমের হুমকি ধামকি দিতে থাকলে আজিজুল হক গাজী ন্যায় বিচারের আশায় চলতি বছরের ২৯ অক্টোবর সাতক্ষীরা বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১০৭ এবং ১১৭ এর (গ) ধারার বিধান মোতাবেক প্রতিকার প্রার্থনা করেন। এরই সুত্রধরে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক বিবাদীদের নিকট আদালতের জারিকৃত নোটিশ বিবাদীদের বাড়িতে পৌছালে বিবাদী মৃত সাবের গাজীর ছেলে মোসলেম গাজী, রমজান গাজীর ছেলে মোজাহিদুল গাজী, ইসলাম গাজীর ছেলে বাবু গাজী ও রমজান গাজীর স্ত্রী আসমা খাতুন সহ আরও ৪/৫ জন ব্যক্তি আক্রোশপূর্নভাবে লাঠি, দা ও অস্ত্র -সস্ত্র নিয়ে নোটিশের বাদী আজিজুল হক গাজীর বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে বসতঘরের ঘেরাবেড়া ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে বাদী আজিজুল হক গাজী বাধাপ্রদান করলে বিবাদী সন্ত্রাসীরা তাকে এবং তার স্ত্রীকেও মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।

বাদী আজিজুল হক গাজী বলেন, আমার মালিকাধীন জায়গায় আমি দীর্ঘদিন বসত করছি। সম্প্রতি আমার শ্যালক আমার বাড়ির পাশেই তার মালিকানাধীন জমিতে বিল্ডিং বেধেছে। আমার শ্যালকের বিল্ডিং তৈরি প্রতিপক্ষের সহ্য না হওয়ায় তারা আক্রোশে হিংসার বশবর্তী হয়ে আমাদের কে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এমনকি আদালতের নোটিশ পেয়ে আমাদের উপর চড়াও হয়ে আমাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেছে। আমরা এর বিচার চাই।

বাদী আজিজুল হকের স্ত্রী বলেন, আমাদের উপর শত্রুতা করে আমাদের বসতঘর যাতে ভেঙ্গে পড়ে যায় সেকারনে ওরা আমাদের জমির সীমানা দিয়ে গভীর গর্ত খুড়ে রেখেছে।বিবাদী মোসলেম গাজী বলেন, আমরা ওদের ঘরের মধ্যে জমি পাবো। ওরা আমাদের জমি দিচ্ছেনা। এরপরও ওরা আমাদের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করেছে। তাই আমার নাতি উত্তেজিত হয়েছিল। আমি তাৎক্ষণিক তাকে শান্ত করি।স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি কামাল হোসেন বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনার সময় আমি এখানে উপস্থিত ছিলাম। আদালতের পিয়ন মোসলেম গাজীর বাড়িতে নোটিশ নিয়ে আসছিল। নোটিশ দেখে মোজাহিদুলসহ অন্যরা উত্তেজিত হয়েছিল। এদের হাক চিৎকারে আজিজুল ও তার স্ত্রী ঘরের দিকে সরে গিয়েছিল।