নিজস্ব প্রতিনিধি : তালায় দীর্ঘ ১৬ বছরের দখলীয় সম্পত্তি জোর পূর্বক সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে দখলের চেষ্টা এবং খুন জখমের হুমকির প্রতিকার চেয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তালা উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের মৃত আমীন উদ্দিন মোড়লের পুত্র আব্দুর রহমান মোড়ল এ অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিগত ১৬ বছর পূর্বে মোবারকপুর মৌজায় ২৪৬ হাল ২১৪ দাগে ১৩ শতক সম্পত্তি মধ্যে ৫ শতক এবং ৩০৯ হাল ৩২৭ দাগে ২২ শতক সম্পত্তি ক্রয় করে দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছেন। গত বছর তিন পূর্বে একই এলাকার আকবার আলী সরদারের পুত্র আসলাম সরদার একই দাগে ১৩ সম্পত্তির মধ্যে ৮শতক সম্পত্তি ক্রয় করে। কিন্তু তার পাশে থাকা আরো ৩৮ শতক এনিমি সম্পত্তি সরকারে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভোগদখল করে আসছে। আসলাম বর্তমানে তার ৮শতক সম্পত্তি, এনিমি ৩৮শতক সম্পত্তি এবং তার ক্রয়করা ৫ শতকজমি সহ দখলের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া কলিয়া গ্রামের মজিদ মোড়লের পুত্র লুৎফর মোড়ল ৩০৯ হাল ৩২৭ দাগের ২২ শতক সম্পত্তি দখলের পায়তারা শুরু করে। এর জের ধরে গত ০৭.০৮.২০১৯ তারিখ বুধবার সকাল ৮টার দিকে ওই আসলাম, কলিয়া গ্রামের মুজিদ মোড়লের পুত্র লুৎফর মোড়লে নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক ভাড়াটিয়া বাহিনীসহ ধারালো অস্ত্র, শস্ত্র নিয়ে ওই ৫শতক সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে জোরপূর্বক প্রাচীর নির্মাণের চেষ্টা চালায়। এতে বাধা দিতে গেলে আমাকে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। এসময় আমার ভাইয়ের পুত্র নাজমুল মোড়ল ও আমার পুত্র রাজু আহমেদ এগিয়ে আসলে তাদেরও বেধড়ক মারপিট করে এবং প্রাচীর নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখে। আমি উপায়ন্তর হয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় তালা থানা পুলিশকে অবহিত করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তাদের প্রাচীর নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। উক্ত আসলাম সম্পত্তি দখলের জন্য তালা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পেশাদার ক্যাডার ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে নিয়ে আসে এবং তাদের জন্য খাসি জবাই করে বড় ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। তাদের উদ্দেশ্য আব্দুর রহমানের সম্পত্তি দখল করে উৎসব করে ভুড়িভোজ করবেন। কিন্তু তালা পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে তাদের অসৎ উদ্দেশ্যে সফল হয়নি। তিনি ওই সন্ত্রাসী দখলদার বাহিনীর হাত থেকে তার রেকর্ডীয় সম্পত্তি রক্ষা এবং জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে আপনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী আব্দুর রহমান।