প্রেস বিজ্ঞপ্তি : আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারি চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু ও ধর্ষন মামলার আসামী সোহরাব সানাকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রতাপনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। সোমবার দুপুরে প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাউনিয়া গ্রামের মৃত জয়নুদ্দিনের পুত্র মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবী জানান। লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, সুভদ্রাকাটি গ্রামের শওকত আলী সানার পুত্র সোহরাব হোসেন একাধিক মামলার আসামী। কয়েক বছর পূর্বে তারই বন্ধুর কন্যাকে কৌশলে সাতক্ষীরা নিয়ে এসে ধর্ষন করে। এঘটনায় ভুক্তভোগী মা বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। যার নং- ৩৬, তাং- ২০/০৮/২০১৬। গত ২৭/৩/১৭ তারিখে চাকলা সেমিনার থেকে বাড়ি ফেরার পথে গভীর রাতে প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যানকে হত্যার উদ্দেশে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অতর্কিত হামলার করে। কিন্তু তার সে উদ্দেশ্যে সফল হয়নি। এঘটনায় চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন যার নং- ১৩/৪৩, তাং- ২৮/০৩/১৭। এছাড়া তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে সুভদ্রাকাটি গ্রামের ইব্রাহিম সানার পুত্র আবুল হোসেনকে হত্যার কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এঘটনায় তার পিতা বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার জিআর নং- ১৬২/২০১৮। অথচ গত ইং ১৭/১১/২০১৯ তারিখে সোহরাব হোসেন ১০নং প্রতাপনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ সম্মেলন করেছে। যা সম্পূর্ণ কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন। তিনি আরও বলেন, সোহরাব সানা জামায়াত-বিএনপির সাথে মিশে ২০১৩ সালে প্রতাপনগরে গঠিত সাঈদী মুক্তিমঞ্চের অন্যতম সদস্য ছিলেন। সোহরাবের ক্যাডার বাহিনীর কারণে আমাদের ইউনিয়নটি বিছিন্ন ছিল। সে সময় তারা চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের বাড়ি ঘর, আওয়ামীলীগ অফিস এবং ইউনিয়ন পরিষদ ভাংচুর করেছিলো। ওই মঞ্চটি একসপ্তাহ স্থায়ী হয়েছিল। যদি পরবর্তীতে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আ’লীগের কর্মীদের তোপের মুখে পালাতে বাধ্য হয় তারা। প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে গরিব, ভূমিহীনদের বসবাসের স্থান দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। কিন্তু ওই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য এক দাগে অনেক সম্পত্তি প্রয়োজন। আমাদের ইউনিয়নে এক দাগে চাকলা তেলিখালী মৌজায় ১৫ একর সরকারি সম্পত্তি থাকলেও তা ভূমিদস্যু সোহরাব হোসেন জবর দখল করে রেখেছে। আমাদের চেয়ারম্যান ওই সম্পত্তি গরিবদের জন্য ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালে সোহরাব সানা চেয়ারম্যানের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে নানা রকম কল্পকাহিনী তৈরী মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।, ধর্ষক সোহরাব হোসেনকে গ্রেফতার পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, ১০নং প্রতাপনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াছাত আলী মামুন, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান ও সাবেক ইউপি সদস্য, মোকছেদ গাজী, ৯নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক, মোশফিকুর রহমান লিটন সভাপতি ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ আমিরুল ইসলাম খোকন, সাধারণ সম্পাদক, গোলাম মোস্তফা ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, মুনঞ্জুরুল ইসলাম নান্টুসহ প্রমুখ।