আশাশুনি

প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকিরকে দল থেকে বহিস্কারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

By daily satkhira

November 19, 2019

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার আশাশুনি চিহ্নিত রাজাকারপুত্র, ভূমিদস্যু, নারী লোভী ও অনুপ্রবেশকারী শেখ জাকিরকে আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী জানান, উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের সুভদ্রাকাটি গ্রামের আলহাজ্ব শওকত আলী সানার ছেলে ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি সোহরাব হোসেন। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রতাপনগরের চিহ্নিত রাজাকার মৃত আমিনুর রহমান সুন্ত মোল্লার পুত্র শেখ জাকির হোসেন নিজে আওয়ামীলীগ করলেও তার পরিবারের সকলেই স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। এলাকার সাধারণ মানুষ ও আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা তার কথা না শুনলে তিনি তাদের নামে মিথ্যা মামলা, খুন জখমের হুমকিসহ নানা ভাবে হয়রানি করেন। এসব বিষয়ে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলাও আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তিনি অস্ত্রবাজি করে তার ক্যাডার বাহিনীর সহযোগিতায় ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ইউনিয়নের খাস জমি দখল, অসহায় মানুষের সম্পত্তি দখল, এলাকার মৎস্যঘের লুটপাট, নিয়োগ বাণিজ্য, বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করে কয়েক বছরেই কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। তার কারণে এলাকার সুন্দরী নারীরা আতংকে থাকেন। বিশেষ করে যাদের সুন্দরী স্ত্রী রয়েছে তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে ওই স্ত্রীদের জিম্মি করে তাদের তিনি ধর্ষণ করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার ক্যাডার বাহিনীর ভয়ে এ ব্যাপারে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাননা। এ সব ঘটনায় গত ১৭/১১/২০১৯ তারিখে আমি তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করলে এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনসহ কয়েকজনকে ভাড়া করে পরদিন আমার বিরুদ্ধেও একটি মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে আমার নামে ৩টি মামলা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। অথচ আমার নামে বর্তমানে বাংলাদেশের কোথাও কোন মামলা নেই। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে আমাকে পরাস্ত করার জন্য তিনিসহ অন্যদের দিয়ে আমার বিরুদ্ধে তিনটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। পরে উক্ত মামলা গুলোতে আমার কোন সম্পৃক্ত না থাকার প্রমান পাওয়ায় আদালত মামলাগুলো থেকে আমাকে অব্যাহতি দেন। তিনি আরো বলেন, জাকিরের পিতা ৭১র যুদ্ধের সময় চালনা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা, রামপাল, শরনখোলা, বাগেরহাট, পিরোজপুরসহ বিভিন্ন এলাকার হিন্দু জনগোষ্ঠী জীবন রক্ষার্থে নদী পথে ভারতে যাওয়ার সময় তার বাড়িতে আশ্রয় নিলে তিনি তাদের মালামাল লুট, সুন্দরী নারীদের ধর্ষনসহ নানাভাবে হয়রানি করতেন। আর তার পুত্র চেয়ারম্যান জাকির এতটাই নিকৃষ্ট যে তার ইউনিয়নের রীমা নামে এক মহিলাকে ভুয়া বিয়ে করে তার সাথে ৭ বছর ঘরসংসার করেন। এরপর ওই বিয়ে অস্বীকার করায় রীমা ক্ষিপ্ত হয়ে তার বিয়ের জাল কাগজপত্র ও ফোন রেকর্ড ইউপি মেম্বর রফিকুল ইসলাম বুলির কাছে হস্তান্তর করেন। জাকির এগুলো বুলির কাছে ফেরত চাইলে তিনি দিতে রাজি না হওয়ায় আশাশুনি থানা পুলিশের এস.আই মঞ্জুরুল আলম ও এ.এস.আই ইসমাইলের মাধ্যমে আশাশুনি থানায় অস্ত্র দিয়ে বুলির নামে একটি মামলা দেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি (সোহরাব) এ সময় রাজাকারপুত্র ও সন্ত্রাসী শেখ জাকিরকে দল থেকে বহিস্কারসহ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় এলাকাবাসী রাজিউল ইসলাম রাজ্জাক, মুন্না ও আলম।##