সাতক্ষীরা

উপকূলের মানুষকে হয়রানি করতে ব্রিজ কোম্পানির নতুন ফাঁদ

By daily satkhira

November 20, 2019

ডেস্ক রিপোর্ট : ফের শ্যামনগরের সাধারণ মানুষকে হয়রানি শুরু করেছে সোলার সিস্টেম বিক্রয়কারী ভুইফোড় প্রতিষ্ঠান ব্রিজ কোম্পানি (ব্রিজ-সৌর বিদ্যুত প্রকল্প)। সোলার কিনে প্রতারিত হওয়া সাধারণ মানুষকে এবার উকিল নোটিশ দিয়ে হয়রানি করছে প্রতিষ্ঠানটি। জানা গেছে, ২০১০ সালে শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ব্যাটারিসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ৫ বছরের মধ্যে নষ্ট হয়ে গেলে ও প্যানেল ২০ বছরের মধ্যে নষ্ট হয়ে গেলে নতুন দেওয়ার শর্তে কিস্তিতে সোলার সিস্টেম বিক্রি করে ব্রিজ। উপকূলের শত শত মানুষ এই শর্তে ব্রিজের কাছ থেকে সোলার ক্রয় করে নিয়মিত কিস্তি শোধ করতে থাকে। এর মধ্যে কয়েকজন গ্রাহকের সোলার নষ্ট হয়ে গেলে তাদের কাছে রিপ্লেসের জন্য দেয়। ঠিক এই মুহূর্তে ২০১২ সালে এলাকা থেকে অফিস গুটিয়ে রাতের আধারে পালিয়ে যায় ব্রিজ কোম্পানির কর্মকর্তারা। এতে সোলার ক্রয়কারীরা পথে বসে। তারা তাদের রিপ্লেসের জন্য দেওয়া ব্যাটারিসহ সোলার আর ফিরে পায়নি। সেসময় একাধিক দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোন লাভ হয়নি উপকূলবাসীর। এতো দিন কোন হদিসও ছিল না ব্রিজ কোম্পানির। এখনো কোন হদিস নেই তাদের। কিন্তু হঠাৎ ঢাকার আদাবরের একটি ঠিকানা থেকে গ্রাহকদের কাছে কিস্তির বাকী টাকা চেয়ে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে ব্রিজ কোম্পানি। এতে বিপাকে পড়েছে সোলার ক্রয়কারীরা। এ ব্যাপারে শ্যামনগরের নুরনগরের মুনছুর আলী কারিগর জানান, তিনি ২০১০ সালে ব্রিজ কোম্পানির কাছ থেকে সোলার ক্রয় করেন। কিছুদিন পর তার সোলারের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যায়। তিনি তা রিপ্লেসের জন্য তাদের নুরনগরস্থ অফিসে জমা দেন। কিস্তিও পরিশোধ করছিলেন নিয়মিত। তিনি মোট ৩৬টি কিস্তির মধ্যে ১৯টি কিস্তি পরিশোধের পর ব্রিজ কোম্পানি তারসহ অন্যান্য গ্রাহকদের রিপ্লেসমেন্টের জন্য দেওয়া সোলার সরঞ্জাম নিয়ে অফিস গুটিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তিনি বাইরে থেকে ব্যাটারি কিনে সোলার চালু করেন। এতো দিন ব্রিজ কোম্পানির কোন খোঁজ ছিল না। হঠাৎ গত ১০ নভেম্বর তিনি একটি উকিল নোটশি পান, যাতে ১৫ দিনের মধ্যে সুদসহ বাকী টাকা পরিশোধের কথা বলা হয়েছে। শুধু মুনছুর আলী কারিগর নন, নুরনগরের অন্তত ৫-৭জনকে দেওয়া হয়েছে এই নোটিশ। এতে বিপাকে পড়েছে তারা। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মানুষ প্রতিকার প্রার্থনা করে ভুইফোড় ব্রিজ কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। #