প্রেস বিজ্ঞপ্তি: কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের পূর্ব-নারায়নপুর গ্রামে চালতে তলায় সার্বজনীনন পুজা মন্দির অবস্থিত। এই মন্দিরের দীর্ঘ দিনের ভোগদখলীয় থাকা জায়গা পরিদর্শন শেষে মিমাংসায় ব্যার্থ হলেন জেলা পুজা উদ্যাপন পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ। খোঁজ নিয়ে যানাযায়, ১৯৭২ সালে ধর্মীয় উৎসব পালন করার জন্য স্থানীয় গ্রামবাসিদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় এই দুর্গা মন্দির। সেই থেকে আনন্দঘন পরিবেশে গ্রামবাসিদের উদ্যোগে দুর্গা মন্দিরে পুজা অর্চনা ভালভাবে চললেও থেমে নেই মন্দিরের জায়গা নিয়ে বিরোধ। এরপর মন্দির কমিটি ও ব্যবসায়ি বরুণ কুমারের নেতৃত্বে চলতে থাকে পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ ও মামলা। এক পর্যায়ে গত ৬ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভূমি অফিসের কানুনগো আলী আকবার সরেজামিনে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় উভয় পক্ষ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থানায় মামলা করে। বিষয়টি জেলা পুজা উদ্যাপন পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দের নজরে আসলে গতকাল শনিবার বিকেলে চলতেতলা সার্বজনীন পুজা মন্দিরে সরেজমিনে পরিদর্শন করে। এসময় মন্দিরের জায়গার বিরোধ নিয়ে উভয় পক্ষের কাছে শোনা বোঝার পর জেলা নেতৃবৃন্দ মিমাংশার চেষ্টা করলে মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ মানতে রাজি হলেও অপর পক্ষ বরুণ কুমার ঘোষ মেনে না নেওয়ায় জেলা নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে চলে যান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি বিশ^জিৎ সাধু, সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি ও জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ^নাথ ঘোষ, জেলা পুজা উদ্যাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ চন্দ্র ঘোষ, মন্দির সমিতির সহ-সভাপতি এ্যাড: সোমনাথ ব্যানার্জী, মন্দির সমিতির যুগ্ম সম্পাদক নিত্যানন্দ আমিন, জেলা কমিটির অন্যতম সদস্য সুধাশু শেখর হালদার, সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক বাসুদেব সিংহ, উপজেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক সনৎ কুমার গাইন, সাধারণ সম্পাদক গ্রাম ডাঃ মিলন কুমার ঘোষ, শ্যামনগর উপজেলা পুজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি জয়দেব বিশ^াস, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার নবগঠিত কমিটির সভাপতি গোবিন্দ মন্ডলসহ শত শত গ্রামবাসি।