আসাদুজ্জামান : কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সাতক্ষীরা কলারোয়ার উপজেলার এক ইউপি চেয়ারম্যান তার পরিষদের এক মহিলা মেম্বরকে শ্লীলতাহানিসহ মারপিট করে আহত করেছে। উপস্থিত গ্রামপুলিশ ও ইউপি মেম্বরদের সামনে তলপেটে লাথি মেরে টেনে হিছড়ে ছিঁড়ে ফেলা হয় তার পরিধেয় বস্ত্র। রবিবার দুপুরে উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে কলারোয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। লিখিত অভিযোগে ইউপি সদস্য মাজিদা বেগম জানান, তিনি সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য। চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম তাকে বিভিন্ন সরাকারি সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেয়ার জন্য কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। রাজি না হওয়ায় তার ওয়ার্ডের অতি ও হত দরিদ্রদের ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন ভাতা দেয়ার তালিকা তাকে বাদ দিয়ে নিজের লোকদিয়ে তৈরি করে আসছিলেন। সম্প্রতি তার যাতায়াতের পথ রোধ করে চেয়ারম্যান তাকে কুপ্রস্তাব দেন। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। তার কথামতো না চলায় রবিবার প্রতিবন্ধী ভাতার তালিকা নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম আকস্মিকভাবে উপস্থিত সকলের সামনে তাকে কিল, চড় ও লাথি মেরে আহত করেন। এসময় তিনি আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে চেয়ারম্যান তার তার পরনের শাড়ি টেনে ধরে পরিধেয় ব্লাউজটি ছিড়ে ফেলেন। এ ঘটনার সময় উপস্থিত চৌকিদার ও ইউপি সদস্যরা এসে তাকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনা উল্লেখ করে তিনি সুবিচার প্রার্থনায় কলারোয়া থানায় হজির হয়ে তার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রতাক্ষদর্শী ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনার পর তিনি মাজিদা মেম্বরের স্বামী ইউনুস আলীকে খবর দেন। পরে তিনি তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। মাজিদার স্বামী নজরুল ইসলাম জানান, বেলা ১ টার দিকে মনিরুল চেয়ারম্যান তাকেসহ তার স্ত্রীকে থানার গেটে পথ রোধ করে মামলা করলে ফল ভালো হবে না বলে হুমকিসহ গালিগালাজ করে চলে যান। এর আগে মাজিদাকে চেয়ারম্যান একাধিকবার কু-প্রস্তাব দিয়েছেন। রাজি না হওয়ায় তার উপর ক্ষেপে ছিলেন চেয়ারম্যান। লজ্জাজনক হওয়ায় বিষয়টি তিনি সে সময় কাউকে জানা জানি করেননি। কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টু জানান, মনিরুল ইসলাম আ.লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান হলেও দলের কোন পদে নেই। সে একটু বেয়াদব টাইপের। মাজিদা মেম্বরের মুখ থেকে ঘটনা শুনে তিনি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন। এ ব্যাপরে চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বলেন, দু’জনের মধ্যে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে। বিষয়টি আপোষ মিমাংসার চেষ্টা চলছে। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।