রাজনীতি

ভোমরার ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাইল গাজীকে গ্রেফতারের দাবিতে প্রধানমনন্ত্রী বরাবর আ.লীগ নেতাদের দরখাস্ত

By Daily Satkhira

April 03, 2017

হাসান হাদী : ফেনসিডিল, ইয়াবা ও সোনাপাচারকারী, জামায়াত-শিবিরের মদদদাতা ভোমরার ইসরাইল চেয়ারম্যান বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। শান্ত সাতক্ষীরাকে আবারো অশান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেনÑ এমনটিই প্রধানমন্ত্রী বরাবর করা এক লিখিত ভোমরা ইউনিয়ন আ.লীগের প্যাডে করা এক দরখাস্তে উল্লেখ করেছেন সাতক্ষীরার আ.লীগ নেতারা। দরখাস্তটিতে সুপারিশসহ স্বাক্ষর করেছেন জেলা ও উপজেলা আ.লীগের শীর্ষ নেতারা। ইসরাইল গাজীর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতি ও নাশকতার পরিকল্পনায় জড়িত থাকার আশংকা করছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। ইতোমধ্যে এঘটনায় ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। লিখিত ও ওই অভিযেগে বলা হয়েছে, অবৈধ অর্থের ব্যবহার করে বিগত ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে জামাত নেতা ইসরাইল গাজী ভোমরা ইউপির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরিষদে বসার পর তিনি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করতে থাকেন। তার অত্যাচারে অতীষ্ঠ হয়ে উঠেছে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এছাড়া চেয়ারম্যান ইসরাইল গাজীকে জামায়াত ও নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতাকর্মীদের নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে গোপন বৈঠক করতে দেে ছেন অনেকে। জামায়াতের সংগঠনকে মজুবত করার লক্ষ্যে তিনি অর্থসহ বিভিন্ন প্রকার সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে চেয়ারম্যান ইসরাইল প্রধানমন্ত্রী ভিশন ২১ ও ২০১৯ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এখনি তাকে রুখতে না পারলে ইউনিয়নের অনেক আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীর প্রাণহাটি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন আ.লীগ নেতৃবৃন্দ। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচনের পর থেকে ইউনিয়নে বিভিন্ন ধরনের সহিংসতা, জ্বালাও পোড়াও সংঘটিত হয় তার ইশারায়। কিন্তু অদৃশ্য কারণে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় হতাশ হয়েছেন নেতাকর্মীরা। আ.লীগ নেতাদের অভিযোগ, ইসরাইল গাজী চোরাই পথে ভারত থেকে ফেনসিডিল, ইয়াবা ও বিভিন্ন মাদকদ্রব্যের পাচার করে কোটিপতি বনে গেছেন। এছাড়া হুন্ডি ব্যবসা, মিয়ানমার, চট্টগ্রামের সাথে অবৈধ ব্যবসা, রাজস্ব ফাঁকিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথেও জড়িত তিনি। লিখিত দরখাস্তে অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করে তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। অন্যদিকে ওই অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করে তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেছেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, বন ও পরিবেশ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলীসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইসরাইল গাজী তারবিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দরখাস্তের একটি কপি তার হাতেও এসে পৌছেছে। তিনি দাবি করেন সেখানে সুপারিশ করা আ.লীগ নেতাদের স্বাক্ষর আসল নয়। অন্যদিকে ইসরাইল গাজীর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী বরাবর করা আবেদনে সুপারিশসহ স্বাক্ষরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: নজরুল ইসলাম। সদর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মো: শওকত হোসেন জানান, দরখাস্তে করা তার নিজেরসহ শীর্ষ নেতাদের সিল ও সই সঠিক।