আন্তর্জাতিক

সামরিক চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি

By Daily Satkhira

November 29, 2019

দেশের খবর: বাংলাদেশের সঙ্গে দুটি সামরিক চুক্তিসহ অন্যান্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহে পেন্টাগনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা র‌্যান্ডল জি শ্রাইভার ঢাকা আসছেন। সফরকালে এই ইন্দো-প্যাসিফিক সিকিউরিটি অ্যাফেয়ার্স অ্যাসিস্যান্ট সেক্রেটারি প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিকী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মাদ শাহরিয়ার আলম, আমর্ড ফোর্সেস ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

বাংলাদেশের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ক্রস-সার্ভিস এগ্রিমেন্ট (আকসা) এবং জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন এগ্রিমেন্ট (জিসোমিয়া) চুক্তি করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে এ ব্যাপারে তারা প্রস্তাবও দিয়েছে। এ দুটি চুক্তির মধ্যে জিসোমিয়া ছাড়া উচ্চ প্রযুক্তির সমরাস্ত্র কারো কাছে বিক্রি করতে পারে না যুক্তরাষ্ট্র।

এ বিষয়ে গত জুনে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি ডেভিড হ্যালের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। ওই বৈঠকের পরে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গোপনীয় মিলিটারি তথ্যের সংরক্ষণের জন্য আলোচনা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশকে অনুরোধ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশও এ আলোচনা অব্যাহত রাখায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে।’

এ বিষয়ে সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘উভয় দেশ এ বিষয়ে কাজ করতে আগ্রহী এবং দুই পক্ষের জন্য সুবিধাজনক একটি প্ল্যাটফর্ম প্রয়োজন, যেখানে বিশ্বাস স্থাপন করা যায়।’

বাংলাদেশ এরই মধ্যে ফোর্সেস গোল ২০৩০ ঘোষণা করেছে এবং এটি বাস্তবায়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্র একটি সরবরাহকারী দেশ হতে পারে বলে তিনি জানান।

সামরিক সহযোগিতার বিষয়টি পররাষ্ট্র সচিবসহ বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। গত জুনে র‌্যান্ডলের সঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক ওয়াশিংটনে বৈঠক করেছেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে প্রশিক্ষণ, মহড়া, তথ্য দেওয়া-নেওয়াসহ বিভিন্ন সহযোগিতা রয়েছে।’

এদিকে এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহউজ্জামান সেরনিয়াবাত আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের ভাষ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে উচ্চ-প্রযুক্তির হেলিকপ্টার কিনতে আগ্রহী। একটি আধুনিক সামরিক বাহিনী তৈরি করার ভিশন আছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবং উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ মিলিটারি ফোর্সেস গোল ২০৩০ ঘোষণা করেছেন তিনি। এটি সরকারের অগ্রাধিকারের বিষয় এবং এ জন্য সরকার যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করেছে।