নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা প্রাণ সায়র খাল খননের নামে ড্রেন তৈরির প্রতিবাদে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা নিউমাকের্টস্থ শহীদ আলাউদ্দীন চত্বরে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, বেতনা ও অন্যান্য নদী এবং বন-পরিবেশ রক্ষা কমিটির আহবায়ক আবুল হোসেন খোকন। বেতনা ও অন্যান্য নদী এবং বন-পরিবেশ রক্ষা কমিটির আয়োজনে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জাসদ সাতক্ষীরার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সরদার কাজেম আলী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, লাবসা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান সজল, জেলা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি মোঃ কওছার আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ, বেতনা ও অন্যান্য নদী এবং বন-পরিবেশ রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব মফিজুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক শেখ শওকত আলী, বাংলাদেশ জাসদ সাতক্ষীরা সদরের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম হেলাল, পৌর সাধারণ সম্পাদক আশরাফ হোসেন, জেলা ভূমিহীন সমিতির দপ্তর সম্পাদক বাবলু হাসান, পৌর ভূমিহীন সমিতির সভাপতি হোসেন মাহমুদ ক্যাপটেন প্রমুখ। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রাণ সায়র খাল সাতক্ষীরার প্রাণ। সেই প্রাণ সায়র খননের নামে ড্রেনে পরিণত করার অপচেষ্টা সাতক্ষীরাবাসী কখনো মেনে নেবে না। খাল খননের নামে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা কোটি কোটি টাকা ভাগবাটোয়ারা করার উদ্দেশ্যে খালটিকে হত্যা করে ড্রেনে পরিণত করার পায়তারা চালাচ্ছে। সম্প্রতি বেতনা ও অন্যান্য নদী এবং বন-পরিবেশ রক্ষা কমিটি বিনেরপোতার সংযোগ স্থল প্রাণ খনন পরিদর্শন করে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। অথচ পরের দিন পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা আবুল খায়ের ও এস এম সাঈদুজ্জামান পরিদর্শন করে ফেসবুক লাইভসহ বিভিন্ন মাধ্যমে একজন মেম্বরকে দিয়ে খাল খনন সঠিক হচ্ছে বলে প্রচার করা হচ্ছে। আমাদের প্রশ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা কি খাল খনন পরিদর্শনে গিয়েছিলেন নাকি ড্রেন খনন পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। আজ সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানি উন্নয়ন বোর্ড কে দুর্নীতিবাজ বোর্ড ঘোষণা করে বক্তারা আরো বলেন, ওই দুর্নীতিবাজ বোর্ডের কারণে সাতক্ষীরাবাসীকে স্থায়ী জলাবদ্ধতার কাবলে পড়তে হচ্ছে। যদি ১৯৬২ সালের সি এস ম্যাপ অনুযায়ী এবং ১৯৯২ সালের মাপ জরিপ অনুযায়ী পুন:মাপজরিপ করে খাল খনন করতে হবে। তা না হলে সাতক্ষীরার প্রাণ সায়র খাল পরিণত হবে সাতক্ষীরাবাসীদের দু:খে। এভাবে খালকে হত্যা করে ড্রেনে পরিণত করা হলে সাতক্ষীরা শহরকে রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। বক্তারা ক্লিন সাতক্ষীরা, গ্রিন সাতক্ষীরা বাস্তবায়নে ১৯৬২ সালের সি এস ম্যাপ অনুযায়ী এবং ১৯৯২ সালের মাপ জরিপ অনুযায়ী পুন:মাপজরিপ করে খাল খননের দাবি জানিয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।