নিজস্ব প্রতিবেদক : নেশাগ্রস্তদের বেপরোয়া মটর সাইকেলে অকালে প্রাণ গেল শামসুর রহমান (৫৫) নামের এক ব্যক্তির। আর এ বিষয়টি ধামা চাপা দেওয়ার জন্য সামছুরের পরিবারের সদস্যদের চাপ প্রয়োগ করে মাত্র ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে মিমাংসা করেদিল স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এলাকাবাসী জানান, শনিবার রাত ৮টার দিকে সাতক্ষীরা সদরের বলাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল আহাদের ছেলে তামিম ও মুজিবর রহমানের ছেলে খালিদ প্রতিদিনের ন্যায় ভাদড়া হতে নেশা করে বেপরোয়াভাবে মটর সাইকেল চালিয়ে বাড়িতে ফিরছিল। এমতাবস্থায় আবাদের হাটে পৌছান মাত্র পিছন থেকে আগরদাড়ী গ্রামের মৃত দুখী মোড়লের ছেলে শামছুর রহমানকে ধাক্কা দেয়। এতে সে মাটিতে পড়ে যায় এবং মারাত্মক আহত হয়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে কিন্তু অবস্থা বেগতিক হওয়ায় সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার শামছুর রহহমানকে খুলনা মেডিকেলে রিফার করে। খুলনা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার সময় রাত ১০ টার দিকে পথিমধ্যে শামছুর মারা যায়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে তামিম ও খালিদের পরিবার গোপনে বিষয়টি মিটানোর চেষ্টা করে। তারা ক্ষমতাশীল দলের কিছু লোককে দিয়ে সামছুরের পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করে এবং ভয়ভীতি দেখায়। এতে ভীত হয়ে শামছুরের পরিবার মাত্র ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে আপস করতে বাধ্য হয়। খালিদের বাবা মুজিবর রহমান বলেন, যে মারা গেছে তার বাচ্চা দুইটির ভবিষৎ এর কথা চিন্তা করে স্থানীয়রা আমাদেরকে ৮০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছিল। তাই আমরা ৮০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছি। তবে টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মীমাংসা হওয়ায় স্থানীয়রা অনেকেই আক্ষেপ করে বলেন, এ রকম নেশাগ্রস্ত ছেলেদের অনেক বড় শাস্তি হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিটানোর কারণে তামিম, খালিদের মতো যাদের বাবার টাকা আছে তারা সচেতনতো মোটে হবেই না বরং বুক ফুলিয়ে বেপরোয়া মটর সাইকেল চালাবে এবং পরবর্তীতে এরকম দুর্ঘটনা আবার ঘটাবে। আগরদাঁড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মজনুর রহমান মালি বলেন, আমি কিছু সময় সালিশে থেকে চলে এসেছিলাম। পরে শুনেছি উভয়পক্ষ মিমাংসা করে নিয়েছি। সদর থানার এস আই কামাল বলেন, কয়েকজন সাংবাদিক ও আগরদাঁড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে তারা নিজেরাই আপস করে নিয়েছে।