নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ সাতক্ষীরার বহু বিবাহের নায়িকা রওশন আরা রুবি’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করলেন ফিংড়ি ইউপি মেম্বর ছয়ফুল্লাহ সরদার। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,আমি ফিংড়ী ইউনিয়নের একাধারে ৩ বারের সফল সাবেক ইউপি সদস্য এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। গত ২১/১০/২০১৯ তারিখে ৯৮নং শিমুলবাড়িয়া সরঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের জমিদাতা সদস্য হিসেবে মনোনীত হই। এদিকে শিমুলবাড়িয়া এলাকার কুখ্যাত রাজাকার মৃত. ওমর আলী সরদারের ভাইপো জামায়াত সমর্থক হারুন অর রশীদ ওই বিদ্যালয়ের জমিদাতা সদস্য হওয়ার পায়তারা করে ব্যর্থ হন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পিচ কমিটির সভাপতি একাধিক হত্যায় সম্পৃক্ত রাজাকার ওমর আলীর এক সময়ের পুত্রবধু ও বহু বিবাহের নায়িকা রওশনআরা রুবি আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং যশোরের বাসিন্দা নজরুল ইসলামকে ভাড়া করে এনে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে একটি সংবাদ সম্মেলন করায়। সংবাদ সম্মেলনে ওই নজরুল আমাকে যুদ্ধাপরাধী এবং হত্যা মামলার আসামী হিসেবে উল্লেখ করেছে। অথচ স্কুল সার্টিফিকেট ও জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী আমার জন্ম তারিখ ০১/০২/১৯৬২। সে অনুযায়ী যুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিলো ৯/১০ বছর। প্রকৃতপক্ষে বহু বিবাহের নায়িকা ওই রুবির স্বামী মৃত. ফজলুল কাদের খোকনের সাথে আমার জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। সেকারণে ওই ভাড়াটিয়া নজরুলকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধপরাধের অভিযোগে বিগত ২০০৯ সালে সাতক্ষীরা চীফজুডিশিয়াল আদালতে মামলা দায়ের করায় রুবি। কিন্তু আদালত যুদ্ধপরাধের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা পাইনি। এছাড়া সাতক্ষীরার যুদ্ধাপরাধীদের বিষয়ে তদন্তে আসা আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মকর্তারাও যুদ্ধপরাধের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা পাইনি। অথচ শুধু মাত্র জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের কারণে তারা আমাকে যুদ্ধাপরাধী বানানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এছাড়া নজরুল তার চাচাতো ভাই ইছাক হত্যার আসামী হিসেবে উল্লেখ করেছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। নজরুলের ভাই ইছাক প্রকৃতপক্ষে একজন চোর। মাছচুরির অপরাধে সোলমারি ঘেরমালিকদের গণপিটুনিতে ২০০১ সালে নিহত হয়। এঘটনায় ইছাকের স্ত্রী আসমা খাতুন আমাকেসহ কিছু নিরিহ মানুষদের জড়িয়ে হত্যা মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে বিগত ২৬.৯.২০০১ বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে হাজির হয়ে ওই হত্যার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ত নেই এবং ভুলক্রমে আমাকে জড়িয়েছে মর্মে এফিডেভিট করে দেয় বাদী আসমা খাতুন। তিনি আরো বলেন, ১৯৬১ সালে তার পিতা মৃত. রুস্তম আলী গাজী ৩৭৬০/৬১ নং দলিলে জমি বিক্রয় করে তার ভাইপো সুজাউদ্দীন গাজী, নেছার গাজী ও হত্যা মামলার বাদীনীর স্বামী ইছাক আলীর নিকট। যে কারণে সেখানে নজরুলের ওই ভিটেই কোন সম্পত্তি না থাকায় অন্যত্র বসবাস করে। আমি নজরুলের কোন সম্পত্তি দখল করিনি। কিন্তু তারপরও ওই পরসম্পদ লোভী বহু বিবাহের নায়িকা রুবি নিজের দেবর জামায়াত সমার্থক হারুনকে বিদ্যালয়ের জমিদাতা সদস্য মনোনীত করার জন্য আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আমাকে ও আমার পুত্র জুয়েলেকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে একের পর এক এধরনের মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করে হয়রানির চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, রুবি নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য সম্প্রতি নিজের প্রকৃত পরিচয় আড়াল করে জেলা মহিলা আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশ করেছে। ওই নারীর কারণে সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। আমি ওই রুবিকে দল থেকে বহিস্কার পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগ, মহিলা আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সংশ্লি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।