সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা পৌর কাউন্সিলর শাহীনকে হেয় করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

By daily satkhira

December 07, 2019

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : আড়াই লাখ টাকা কৌশলে আত্মসাথের উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরা পৌর কাউন্সিলর শাহীনুর রহমানকে সামাজিকভাবে হেয় করতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, পাটকেলঘাটা থানার ভার্সা গ্রামের মাজেদ মোড়লের ছেলে নুর ইসলাম। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিগত ৫ বছর পূর্বে আমার প্রথম স্ত্রী একটি প্রতিবন্ধী পুত্র সন্তান রেখে চলে যাওয়ার পর আমি সাতক্ষীরা শহরের পার কুখরালী গ্রামের শামছুর রহমানের কন্যা সাবিনা খাতুন@ চম্পাকে দ্বিতীয় বিয়ে করি। বিয়ের পর থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ঘরসংসার করে আসছিলাম। আমাদের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। আমার প্রতিবন্ধী পুত্র’র ভাতা, গরু বিক্রি ও আমার বাবার লাগানো গাছ এবং জমির ফসল বিক্রির মোট ২লাখ ৪৪ হাজার টাকা বসতঘর নির্মাণের জন্য জোগাড় করে বাড়িতে রাখি। বিষয়টি আমার স্ত্রী সাবিনা জানতে পেরে সুযোগ বুঝে ওই টাকা চুরি করে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসে এবং ওই টাকা তার বড় ভাই ইয়াসিনের হাতে তুলে দেয়। এরপর সে আমাকে ডিভোর্স দেয়। সে সময় সাতক্ষীরা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহীনুর রহমানের কাছে বিচার দিলে তিনি বিষয়টি মিমাংসা করে দেন। পরে আবারো সমস্যা সৃষ্টি করলে আমি পুরাতন সাতক্ষীরা ফাঁড়ির ইনচার্জ এর কাছে অভিযোগ দিলে তিনি বিষয়টি মিমাংসা করে দেন। সে সময় আমার স্ত্রী সাবিনা জানায় টাকাগুলো সোনালী ব্যাংকে আমার কন্যার নামে রাখা আছে। সে অনুযায়ী তাকে আমি বাড়ি নিয়ে যাই। এরপর গত ৯/১১/১৯ তারিখে সাবিনা তার কন্যাকে রেখে তার বাপের বাড়ি ওই টাকাটা আনার কথা বলে চলে যাই এবং নিজেই উল্টো টাকা উদ্ধারের দাবিতে পুলিশ ও সদর থানার ওসিসহ বিভিন্ন দপ্তরে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। পরবর্তীতে আমি তাদের বাড়িতে গেলে তাকে আনতে গেলে আমার শ্বশুর, শ্যালকসহ অনেকেই আমাকে বেধড়ক মারপিট করে। আমি কোন উপায় না পেয়ে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে থানা পুলিশ বিষয়টি মিমাংসার জন্য স্থানীয় কাউন্সিলর শাহীনকে দায়িত্ব দেন। এঘটনা জানতে পেরে শ্যালক ইয়াছিন ও শ্বশুর ইউসুফ গভীর রাতে কাউন্সিলের কাছে গিয়ে বিষয়টি চেপে যাওয়ার জন্য ২ হাজার টাকার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু কাউন্সিলর তার অন্যায় প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার পর ক্ষিপ্ত হয়ে টাকাটা আত্মসাথের উদ্দেশ্যে গত ০৪/১২/২০১৯ তারিখে শ্যালক ইয়াছিন ও শ্বশুর সামছুরসহ তার পরিবারের সদস্যরা আমার স্ত্রী সাবিনাকে আটকে রেখে চাপপ্রয়োগ করে কাউন্সিলর শাহীনকে জড়িয়ে একটি মানহানিকর, মিথ্যা, ভিত্তিহীন বানোয়াট সংবাদ সম্মেলন করে। অথচ গত মাস ২ পূর্বে সে এই টাকা নিয়ে গেছে মর্মে জবানবন্দি দিয়েছিল। যার ভিডিও রেকর্ডিং কাউন্সিলরের কাছে আছে। এদিকে ইয়াছিনের শালিকা মুক্তা আমার স্বাক্ষর জাল করে ৫ লাখ টাকার স্ট্যাম্পে টাকা না দেওয়ার উদ্দেশ্যে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এঘটনায় আমি থানায় একটি জিডিও করেছি। তিনি আরো বলেন, কাউন্সিলর সাহেব একজন সৎ, কর্মঠ এবং নিষ্ঠাবান ব্যক্তি। তার পিতা ছিলেন অত্র অঞ্চলের একজন জনপ্রিয় কমিশনার। তিনিও দুইবারের ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। অথচ ইয়াছিন আমার টাকা আত্মসাথের উদ্দেশ্যে কাউন্সিলর শাহীনকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে এধরনের মিথ্যাচার করেছেন। এছাড়া আমার ছোট ভাইকে জড়িয়ে যে বক্তব্য সাবিনা দিয়েছে তাও সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এমতাবস্থায় তিনি উক্ত মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলনের তীব্র প্রতিবাদসহ অর্থ আত্মসাথের পায়তারাকারী ইয়াছিনগং এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।