আশাশুনি

আশাশুনিতে মরিচ্চাপ রিভার ভিউ কেওড়া পার্ক উদ্বোধন করলেন ডিসি

By daily satkhira

December 09, 2019

আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনিতে মরিচ্চাপ নিভার ভিউ কেওড়া পার্ক ও শেখ রাসেল শিশু কর্ণার শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার বিকালে মরিচ্চাপ ব্রীজের কাছে চরভরাটি জমিতে নির্মানাধীন পার্কের শুভ উদ্বোধন করেন, প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ডিসি পতœী মিসেস লাভলী কামাল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম, ইএনও পতœী মিসেস কানিজ মীর, আশাশুনি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মিজানুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসীম চক্রবর্তী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসলেমা খাতুন মিলি। সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আঃ হান্নানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সেক্রেটারী কামরুজ্জামান, ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলন, প্রভাষক ম মোনায়েম হোসেন, ইঞ্জিঃ আ ব ম মোছাদ্দেক, দিপংকর কুমার সরকার, আঃ আলিম মোল্যা, আবুল বাছেত হারুন চৌধুরী, স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ, ইউপি সদস্যবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি মোস্তফা কামাল বলেন, আশাশুনিতে বড় বাজার, বিনোদনকেন্দ্র ছিলনা। ছিল কেবল পানি আর পানি। মানুষ বিনোদনের সুযোগ না পেয়ে অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়ছিল। কেওড়া পার্কের বেষ্টনি দেখে আমার ভাল লেগেছিল, তাই ঢাকা থেকে আর্কেটিস্ট এনে পার্কের বড় ধরনের উন্নয়নে পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। সেই থেকে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পর্কের কাজ চলছে। পার্ক ও শিশু কর্ণারকে দর্শনীয় ও মনোরম ভাবে গড়ে তুলতে চাই। সাথে সাথে আশাশুনির হাটবাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, পরিবেশ রক্ষা, অবৈধ ইটভাটা বন্ধ, খাদ্যে ভেজাল বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখে সাতক্ষীরাকে আধুনিক এবং গ্রীণ সাতক্ষীরা ক্লিন সাতক্ষীরা হিসাবে গড়ে নজির স্থাপন করতে চাই। শেষে প্রধান অতিথি কেক কেটে পার্ক ও শিশু কর্ণারের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে পার্কের অভ্যান্তরিন সড়ক নির্মান, বনের ভিতর দিয়ে নদীর পানির ভিতর পর্যন্ত পৌছে অনেকগুলো বসার জন্য চৌকি নির্মান, পার্কের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে বসার ব্যবস্থা, পিকনিকের জন্য স্পেস, কেওড়া গাছের সুদৃশ্য বনায়ন ইত্যাদি কাজ করা হয়েছে। শেখ রাসেল শিশু কর্ণারে বিনোদনের জন্য পাথর-কাঠ দিয়ে নির্মিত বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণির প্রতিকৃতি, বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন খেলাধুলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পার্কটিকে আরও উন্নত ও আকর্ষনীয় করার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন।