আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে আজ আন্তর্জাতিক আদালতের মুখোমুখি সু চি

By Daily Satkhira

December 10, 2019

বিদেশের খবর: রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উপর কেন জাতিগত নিধন চালিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিক আদালতে সেই প্রশ্নের মুখোমুখি দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) শুরু হওয়া শুনানিতে সব প্রশ্নের জবাব দেবেন তিনি। এর মধ্যদিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে বলে মনে করছেন শুনানি পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে অংশ নেওয়া মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক।

তিনি বলেন, পুরো বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সাথে নিয়েছে বিশ্ব। শুনানিতে অংশ নিতে এর মধ্যেই বিভিন্ন দেশের সুশীল সমাজ ও নীতি নির্ধারকও থাকছেন। ফলে মিয়ানমার চাইলেও কোন কিছু লুকাতে পারবে না।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে গাম্বিয়ার মামলায় প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গাদের উপর চালানো গণহত্যা, ধর্ষণ সর্বপরি জাতিগত নিধনের জন্য যা করেছে মিয়ানমার, সে সংক্রান্ত উঠা সকল প্রশ্নের জবাব দিতে হবে দেশটিকে। যেই শুনানিতে অংশ নিতে যাচ্ছে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অন সান সুচি। ১৯৫৬ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদে স্বাক্ষর সকল দেশই এমন শুনানি হলে কিংবা অভিযোগ দায়ের করা হলে তাতে অংশ নিতে বাধ্য।

পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকের নেতৃত্বে এই শুনানি পর্যবেক্ষণে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলও। সেখানে থাকছেন তিন রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষ। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিও।

শরণার্থী বিশেষজ্ঞ ও ঢাকার পশ্চিমা কূটনীতিকদের মতে, মিয়ানমারকে আদালতে দাড় করাবার মানেই হচ্ছে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা। এই চেষ্টা যেন ভাবেই যেন বৃথা না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখবার আহ্বান জানান তারা।

আজ (মঙ্গলবার) থেকে টানা তিন দিন চলবে শুনানি। এরপর আদালত যে রায় কিংবা পর্যবেক্ষণ দেবে তা শুনতে বাধ্য মিয়ানমার। যদি তার বরখেলাপ ঘটে তবে তা চলে যাবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের হাতে। তখন পরিষদ যা বলবে তা অক্ষরে অক্ষরে করতে বাধ্য থাকবে মিয়ানমার।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চালানো জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে পাড়ি জমাতে থাকে ৭ লাখ ৪০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা। বর্তমানে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের পাহাড় কেটে বানানো ৩২টি ক্যাম্পে ১১ লাখ ১৯ হাজার রোহিঙ্গার বসতি।