নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্বে বামপন্থীদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির প্রয়াত নেতা অমল সেনের নেতৃত্বে তেভাগা আন্দোলন, বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টির প্রয়াত নেতা কমঃ মনি সিংহের নেতৃত্বে টংক আন্দোলন, কমঃ অজয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে সিলেটের নানকর, চাপাইনবাবগঞ্জের রানীমাতা কমরেড ইলা মিত্রের নেতৃত্বে নাচল বিদ্রোহসহ বামপন্থীরা বিভিন্ন আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন এ আন্দোলনে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়াশীল শাসকগোষ্ঠীর হাতে রাজশাহীর জেলের খাপড়া ওয়ার্ডে প্রাণ দিয়েছিল আনোয়ার, সুখেন, হানিফ, বিয়, সুধীন, দেলোয়ার ও কম্পরামসহ কমিউনিষ্ট বিপ্লবীরা। ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনে মুসলিম লীগের স্বৈরাচারের পতন ঘটেছিল। কমিউনিষ্টসহ এদেশের বিপ্লবীরা সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে ’৬২ এর লড়াই শুরু করেছিল। এরই ধারাবাহিকতায় শুরু হয় ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান। এ ছাড়া বিভক্তি ও মতাদর্শগত বিভ্রান্তির মধ্য দিয়েও প্রবাসে যেয়ে কমিনষ্টরা মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ গঠণ করে দেশের অভ্যন্তরে ৪২টি জায়গায় লড়াই সংগঠিত করেছিল। বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অমল সেনের নেতৃত্বে সেদিন কর্মীরা সুসংগঠিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে খুলনার ডুমুরিয়ার শোভনা ও সাতক্ষীরার তালা থানাধীন মেশেরডাঙিকে কেন্দ্র করে অস্থায়ী বিপ্লবী ঘাঁটি এলাকা, গণফৌজ ও গণগেরিলা বাহিনী গড়ে ওঠে। রাজনৈতিক ও মতাদর্শিক সকল বিরোধ উপেক্ষা করে সাতক্ষীরা মহাকুমাতে পাকিস্তানি রাষ্ট্র ও ইয়াহিয়ার সমারিক শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল দল মিলে স্থানীয় সাতক্ষীরা পার্টি গেরিলা বাহিনী ও গণমুক্তিফৌজ গঠণ করে। কমরেডগণ ভারতে প্রশিক্ষণ নেন। মুক্তিযুদ্ধে কমরেড ডাঃ মুর্তাজা, কমঃ আজমল হক, কমঃ নাজির হোসেন খান টুটুল কমঃ সৈয়দ কামেল বখত, কমঃ রণজিৎ রাজবংশীসহ অনেকেই শহীদ হন। এই মহান বিজয় দিবসে পার্টির কাস্তে হাতুড়ি খচিত বিশ্বশ্রমিক শ্রেণীর লাল পতাকা অবণত করে ওইসব শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানায়। সোমবার বিকেলে সাতক্ষীরার মিনি মার্কেটের দক্ষিণ পার্শ্বে আয়োজিত বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক দলীয় আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি অ্যাড. মুস্তাফা লুৎফুল্লাহ’র সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন জেলা শাখার সম্পাদক অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু ও কমঃ সাব্বির হোসেন। সভায় মুক্তিযোদ্বা আব্দুর রউফ ও মুক্তিযোদ্ধা সাবান আলীকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়। আলোচনা সভা শেষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি সাতক্ষীরা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।