নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জি, এন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রের দুই হাতে কলম দিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত ও আহত করার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ওই শিশুর মাতা রাশিদা বেগম গত মঙ্গলবার অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মোঃ মামুনার রশিদের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন। তিনি তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, গত ৩ এপ্রিল সোমবার বেলা সোয়া ১২ টার দিকে অংকের কাসে আমার শিশু পুত্র রাশেদুজ্জামান রাশেদকে ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক মামুন বিনা কারনে মারপিটসহ তার দুটি হাত বেঞ্চের উপর রেখে তার হাতের কবজির উপর কলমের খোঁচা মেরে রক্তাক্ত ও জখম করে। একই সাথে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও জীবন নাশের হুমকিও প্রদান করে। বিষয়টি আমি সাথে সাথে উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাসহ ম্যানেজিং কমিটির লোকজনকে লিখিতভাবে জানালে তারা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পরামর্শ দেন। এ খবরটি ওই শিক্ষক জানতে পেরে ওই দিনই দুপুরে তিনি আমার মুন্সিপাড়াস্থ ভাড়া বাসায় এসে আমাকেসহ আমার স্বামী আব্দুর রশিদ লাভলুকে এ নিয়ে থানা ও কোর্টে মামলা করিলে আমাদেরকে দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করেন। বিষয়টি আমরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবসস্থা নেয়ার জন্য পরামর্শ দেন। এরপর আমি বাদী হয়ে পরদিন মঙ্গলবার থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করি। তবে, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা দিলরুবা আফরোজ জানান, আমি ওই শিশুর মাকে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেইনি। আমি বলেছিলাম অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টাল ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি সুপারিশ করবেন। তিনি আরো জানান, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তাইফুল ইসলাম, স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর ও আওয়ামীলীগ নেতাদের পরামর্শক্রমে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছেন। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তাইফুল ইসলাম জানান, আমিসহ স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর খবরটি শুনার সাথে সাথে স্কুলে যাই। ওই শিশুর মা আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললে আমরা এতে কোন আপত্তি করি নাই। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক মাছখোলা গ্রামের মামুনার রশিদ তাকে মারপিটের বিষয়টি অস্বীকার করলেও তাকে কলমের খোঁচা দিযে রক্তাক্ত করার বিষয়টি স্বীকার করেই জানান, অসাবধানবশতঃ এটি হয়েছে। এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। পুরাতন সাতক্ষীরা পুলিশ ফাঁড়ির এ এস আই রাজু জানান, সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি (তদন্ত) আলমগীর হোসেন ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য তাকে মৌখিকভাবে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তিনি সেখানে গিয়ে এর সত্যতাও পেয়েছেন বলে দাবি করে আরো জানান, এই শিক্ষক প্রায়ই স্কুলের বাচ্চাদের মারধর করেন।