বিদেশের খবর: নাগরিত্ব আইন ইস্যুতে মুসলিম শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের ঘটনায় গর্জে উঠেছে ভারতের ছাত্রসমাজ।
আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় জামিয়া মিলিয়া ও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ চালায় স্থানীয় পুলিশ। এর প্রতিবাদে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা সোমবার কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় মিছিল করেন। শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর শিক্ষার্থীদের মিছিলে ছিলেন অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকাও।
রবিবার জামিয়া মিলিয়া ও আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি পীড়নের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরে রাতেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা যাদবপুর ও সল্টলেকের দুই ক্যাম্পাসেই প্রতিবাদ মিছিল করেন। মাঝরাতে নিউ টাউনের নারকেলবাগান মোড় প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকালে আলিয়া এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসের ছাত্রছাত্রীরা আবার চিংড়িহাটা মোড়ের কাছে একত্রিত হন। পুলিশ জানিয়েছে, কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে শিক্ষার্থীদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
মিছিলের অগ্রভাগে থাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির বিদায়ী ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক অভীক দাস বলেন, ‘দিকে দিকে ছাত্রছাত্রীদের উপরে অত্যাচার না-থামলে আমরা এই অবস্থান থেকে উঠব না।’ শিক্ষার্থীদের এই অবস্থান রাত পর্যন্ত চলছিল। সন্ধ্যায় একই দাবিতে যাদবপুরের এসএফআই সমর্থকেরা আলাদা মিছিল বের করেন। বিকেলে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষাকর্মীরা মিছিল করেন জামিয়া মিলিয়া ও আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের উপরে পুলিশি আক্রমণের প্রতিবাদে।
দিনভর দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল হয় কলেজ স্ট্রিটে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সামনে ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। তাতে দুপুর থেকে বার বার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে কলেজ স্ট্রিট। বেলা ২টার দিকে প্রেসিডেন্সির শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মিছিল করেন। কারমাইকেল হস্টেল থেকে বেরিয়ে এসে বিক্ষোভ দেখান আবাসিকেরা। সায়ন চক্রবর্তী নামে প্রেসিডেন্সির এক ছাত্র বলেন, ‘আমরা চাই, সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এর বিরুদ্ধে একজোট হয়ে প্রতিবাদ করুন।’