খুলনা

বড় স্কোর তাড়া করে রাজশাহীকে হারালো খুলনা!

By Daily Satkhira

December 17, 2019

খেলার খবর: এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েও ম্যাচ নিজেদের হাতের মুঠোয় রাখতে পারলো না আন্দ্রে রাসেলের রাজশাহী রয়্যালস। খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সামনে স্রেফ উড়ে গেলো রাজশাহী। ১৯০ রানের বিশাল লক্স্য তাড়া করে খুলনা টাইগার্স জিতে গেলো ৫ উইকেটের বড় ব্যবধানে। হাতে বল বাকি ছিল ২টি।

শোয়েব মালিকের ৮৭ রানের বড় স্কোরের ওপর ভর করে এবারের বঙ্গবন্ধু বিপিএলের সবচেয়ে সেরা স্কোর গড়েছিল রাজশাহী রয়্যালস। অনেকেই হয়তো তখন ধরে নিয়েছিলেন, এই ম্যাচে নিশ্চিত হারতে বসেছে খুলনা টাইগার্স।

কিন্তু খুলনার অধিনায়ক যখন সবচেয়ে বেশি দৃঢ়চেতা হন এবং ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন, তখন অন্য কোনো অনুপ্রেরণার প্রয়োজন পড়ে না। ৫১ বলে অনবদ্য ৯৬ রানের ইনিংস খেলে তাই তিনি দলকে জয় উপহার দেন।

তবে মুশফিকের জন্য আফসোস। ছক্কা মেরে নিজের সেঞ্চুরি এবং দলের জয় দুটাই উদযাপন করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রবি বোপারার বলে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে শোয়েব মালিকের হাতে তালুবন্দী হয়ে সেঞ্চুরিটা আর করা হলো না তার। মাত্র ৪ রান দুরে থাকতে ফিরে যেতে হয়েছে মুশফিককে।

১৯০ রানের বিশাল লক্ষ্য। এতবড় লক্ষ্য তাড়া করতে নামার পর যে কারও ভেতরেই প্রতিক্রিয়া হওয়ার কথা। সেই প্রতিক্রিয়াতেই কি না, মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গেই সাজঘরের পথ ধরলেন খুলনার ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। বল মোকাবেলা করে কোনো রান না করেই ফিরে গেলেন তিনি। ৭ রান করে ফিরে গেলেন আরেক ওপেনার, আফগান ব্যাটসম্যান রাহমানুল্লাহ গুরবাজও।

২৫ রানে ২ উইকেট পড়ার পরই ঘুরে দাঁড়ান রাইলি রুশো এবং মুশফিকুর রহীম। দু’জন মিলে গড়ে তোলেন ৭২ রানের বিশাল এক জুটি। দলীয় ৯৭ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরে যান রাইলি রুশো। ৩৫ বলে তিনি করেন ৪২ রান। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মার মারেন তিনি।

এরপর শামসুর রহমান শুভকে নিয়ে ৬০ রানের জুটি গড়ে তোলেন মুশফিকুর রহীম। ১৫৮ রানের মাথায় শুভ আউট হয়ে যান। ২০ বলে তিনি করেন ২৯ রান।

শেষের কাজটুকু করে দেন মুশফিক আর রবি ফ্রাইলিংক। দু’জন মিলে গড়েন ৩০ রানের জুটি। দলীয় ১৮৮ রানের মাথায় ৯৬ রান করে ফিরে যান মুশফিক। ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন রবি ফ্রাইলিংক।

সবচেয়ে মজার বিষয় হলো রাজশাহী রয়্যালস অধিনায়ক মোট ৯জন বোলার ব্যবহার করলেন এই ম্যাচে। ৪ ওভারের কোটা কেবল পূরণ করেছেন রাসেল নিজেই। কামরুল ইসলাম রাব্বি ২, আফিফ হোসেন ৩, আবু জায়েদ রাহী ১, শোয়েব মালিক ২, রবি বোপারা ২.৪, অলক কাপালি ৩, তাইজুল ইসলাম ১ এবং ফরহাদ রেজা ১ ওভার বল করেন।

এদের মধ্যে উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল ২টি, কামরুল ইসলাম রাব্বি, আফিফ হোসেন এবং রবি বোপারা ১টি করে।