দেশের খবর: ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের পূর্বঘোষিত সংহতি সমাবেশে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ ও আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশ ডাকেন ভিপি নুর।
অভিযোগ পাওয়া গেছে সমাবেশটি শুরুর আগ মুহূর্তে এতে অতর্কিত হামলা চালায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রলীগের প্রায় ১৫জন নেতাকর্মী। এতে ভিপি নুরুল হক, সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনসহ আরও বেশ কয়েকজন আহত হন। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন হামলায় নেতৃত্ব দেয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ডাকসু ভিপি নুরুল হক ও তার সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বিকেল চারটায় তাদের পূর্বঘোষিত সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তবে তাদের আগেই সমাবেশ প্রতিহত করতে রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নেয় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। সমাবেশ করতে ভিপি নুরসহ অন্যান্যরা রাজু ভাস্কর্যে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয়পক্ষই পাল্টাপাল্টি শ্লোগান দিতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে ভিপি নুরসহ অন্যদের উপর হামলা চালায় আমিনুল-বুলবুল ও তাদের অনুসারীরা। তখন উভয়পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। হামলায় ডাকসু ভিপির নুরের হাতের আঙুল ভেঙে যায় এবং সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন পায়ে আঘাত পান। এছাড়াও আহত অবস্থায় আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সিফাত ও আরেকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হামলার পর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে সমাবেশ চালিয়ে যান ভিপি নুরুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ‘সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদে’র যুগ্ম-আহবায়ক রাশেদ খান ও ফারুক হোসেনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে নুর বলেন, আমরা যখনই কোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেছি তখনই আমাদের উপর মামলা-হামলা চালানো হয়েছে। আজও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হলাম। বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ ও ডাকসু ভারতে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের সাথে আছে।
হামলা করা বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘নুর ডাকসুর ভিপি। সাধারণ ভোটার হিসেবে আমরা তার দুর্নীতির বিষয়ে ব্যাখ্যা শুনতে চেয়েছিলাম। পৃথিবীর কোথায় কী ঘটছে, সেটা নিয়ে সে কেন কথা বলবে? সে যে বিষয়ের প্রতিবাদ করতে গেছে তা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশ ও ভারতই এ বিষয়টি সমাধান করবে। এটা নিয়ে সে কেন কথা বলবে?’
কোনো বিষয়ে প্রতিবাদ করলে কাউকে মারা যায় কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেখানে কোনো হামলা হয়নি। আমাদের ও তাদের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। হামলায় নিজের জড়িত থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, কেউ আমার উপর হামলা করলে আমি তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেব না? এ সময় নুরুল হক আইএসআইয়ের এজেন্ট বলেও মন্তব্য করেন তিনি।