যশোর প্রতিবেদক: যশোরে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার পুলিশ সদস্য দেবপ্রসাদ সাহার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করা হয়। গতকালের ১০ দিনের রিমান্ডের পরিপ্রেক্ষিতে আজ ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। মঙ্গলবার ঢাকা থেকে দেবপ্রসাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলায় বলা হয়েছে, বেনাপোল ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্মরত থাকা অবস্থায় ভারতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করেন পুলিশ কনস্টেবল দেবপ্রসাদ। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে গত ১৫ ডিসেম্বর বেনাপোল পোর্ট থানায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান, দেব প্রসাদ সাহা ঢাকার উত্তরা ১ নম্বর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। তিনি ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ১৭ আগস্ট পর্যন্ত বেনাপোল ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। সেখানে কর্মরত থাকা অবস্থায় তিনি যখন-তখন নোম্যান্সল্যান্ড অতিক্রম করে ভারতে যাওয়া আসা করতেন। বেনাপোলে দায়িত্ব পালনকালে বিশেষ বাহিনীর দুজন সদস্যের সঙ্গে তার সম্পর্ক হয়। ওই দুজন মাঝেমধ্যে বেনাপোলে গিয়ে ভারতের এস চক্রবর্তী ও পিন্টু নামে দুজনের কাছে বাংলাদেশের গোপনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করতেন। ২০১৮ সালের শেষের দিকে দেব প্রসাদ সাহা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংবলিত একটি পেনড্রাইভ নোম্যান্সল্যান্ড অতিক্রম করে ভারতে পাচার করেন। ১৫ দিন পর তিনি বিশেষ বাহিনীর এক সদস্যের কাছ থেকে এনে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংবলিত পেনড্রাইভ ভারতের এস চক্রবর্তী ও পিন্টুর কাছে হস্তান্তর করেন।
গত ২৫ অক্টোবর ঢাকার কমলাপুরের একটি হোটেল থেকে ডিজিএফআই ও র্যাবের হাতে সৈনিক শাহানেওয়াজ শাহিন আটক হন। এ সময় তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি পেনড্রাইভ উদ্ধার করা হয়। তিনি ভারতের কাছ তথ্য পাচারের বেশ কিছু তথ্য দেন। পরে বিষয়টি পুলিশ হেড কোয়ার্টারস তদন্ত কমিটি গঠন করে অনুসন্ধানে নামে। তদন্তে তাদের মোবাইল ফোনের কললিস্ট থেকে ভারতের পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আরেফের সঙ্গে কথোপকথনের ভিডিও সিডির মাধ্যমে ভারতে বাংলাদেশের তথ্য পাচারের বিষয়টি উঠে আসে। এরপর দেব প্রসাদের নামে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা ও আটক করা হয়।