প্রেস বিজ্ঞপ্তি : নড়াইলের কুখ্যাত সন্ত্রাসী, ভূয়া পরিচয়দানকারী একাধিক মামলার আসামী, চাঁদাবাজ, নারী লোভী হাফিজুর রহমান বিপ্লবের হাত থেকে রেহাই পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনায় অসহায় পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করনে শহরের মেহেদীবাগ এলাকার মৃত বাবর আলীে কন্যা জোছনা। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত ১২ বছর পূর্বে নড়াইল জেলার নড়াগাতী উপজেলার কলাবাড়িয়া গ্রামের হাসেম মোল্যার পুত্র হাফিজুর রহমান বিপ্লবের সাথে আমার বিবাহ হয়। বিবাহের পর ধীরে ধীরে তার আসল চরিত্র বেরিয়ে আসে। এ কারণে বিগত ৯ বছর পূর্বে তার সাথে আমার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। কিন্তু ছাড়াছাড়ি হলেও সে বিভিন্নভাবে আমাকে, আমার ঢাকা প্রবাসী বোন এবং আমার পরিবারের অন্য সদস্যদের বিভিন্নভাবে হয়রানি ও খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন করতে থাকে এবং চাঁদা দাবি করতে থাকে। ওই হাফিজুর রহমান বিপ্লবের কাছে সব সময় একটি পিস্তল ও ছুরি থাকে। আমার বড় বোন ঢাকা প্রবাসী হোসনেয়ারা রুপার ঢাকার বাসায় গিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রায় ৪লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। আবার উল্টো ঢাকার বড্ডা থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এছাড়া ইতোপূর্বে আমার বোনের বিরুদ্ধে ঢাকা, খুলনা, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। তাকে ৫০লক্ষ টাকা দিলে মামলা তুলে নেওয়া হবে না এবং মিথ্যা মামলায় জর্জরিত করে দিশেহারা করবে মর্মে হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে । গত ২৩ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে আমার বোনকে সাতক্ষীরা জজকোর্টের সামনে থেকে তুলে নিয়ে নড়াইলের নিজ বাড়িতে নিয়ে তার কাছে থাকা স্বর্ণের গহনাসহ টাকা পয়সা লুটপাট করে তাকে বেধড়ক মারপিট করে এবং তার কাছ থেকে ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। পরে ওই স্ট্যাম্পে ইচ্ছামত টাকার অংক বসিয়ে চাঁদাদাবি করে আসছে। এছাড়া ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে ছেলের মার্কেট করে দেওয়ার নাম করে আমাকে খুলনায় যেতে বলে। সেখানে গেলে হাতুড়ি দিয়ে মারপিট করে হত্যার চেষ্টা করে। এঘটনায় আমি খুলনার হরিণটানা থানায় একটি মামলাও করেছি। এরপরও ওই লম্পট চাঁদাবাজের কারণে আমার আতœীয় স্বজন ও পরিবারের সদস্যরা অতীষ্ট হয়ে উঠেছে। তারা চরম ভোগান্তির মধ্যে দিনাতিপাত করছে। কথায় কথায় পিস্তল ও ছুরি বের করে খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন করে। তার নির্দিষ্ট কোন পেশা না থাকলেও বিভিন্ন মানুষকে জিম্মি করে চাঁদাবাজি করে। তার কথায় চাঁদা না দিলে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি এবং বেধড়ক মারপিট করে। নড়াইলের কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নজরুল মোল্ল্যাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে। এঘটনায় ওই ভুক্তভোগী একটি মামলাও করে। এছাড়া আমার বোন হোসেনয়ারা রুপাকে ঢাকায় থাকতে দিচ্ছে না। যে বাসায় যান সেই বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি। ফলে আমার বোনকে আর কেউ বাসা ভাড়া দিতে চাচ্ছে না। আমাদের দিশেহারা করতে আমার বোনের ১৮ বছর বয়সী পুত্রের বিরুদ্ধে এবং আমার ভাইসহ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। অবিলম্বে ওই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার আমাদের মত অসহায় পরিবার কে তার হাত থেকে উদ্ধার করতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।