সারিকা সাবরিন। ছোট পর্দার তারকা। কাজ থেকে দূরে ছিলেন আড়াই বছর। এখন আবার তিনি ব্যস্ত হয়েছেন কাজ নিয়ে। এর মধ্যে নানা বাঁধার মুখোমুখি হতে হয় তাকে। গতকাল বুধবার রাত ৯টা নাগাদ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে তিনি একটি পোস্ট দিয়েছেন। এই পোস্টে লিখেছেন, ‘শুটিং ডেটের একদিন আগে ক্লায়েন্টের গাড়িতে করে মানিকগঞ্জ (যেখানে যেতে ১ ঘণ্টা+ লাগে মাত্র আমার বাসা থেকে) যাওয়া এবং প্রিভিয়াস ডে অ্যান্ড নাইট তার সাথে সেখানে অবস্থান করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কি কোনো অপরাধ? এটা কি অপেশাদারিত্ব?’ এই প্রসঙ্গ নিয়ে রাতেই মুঠোফোনে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেন সারিকা।
আপনি কোথায়? বাসায়।
কী করছেন? তেমন কিছুই না।
কিছুক্ষণ আগে ফেসবুকে আপনার একটা পোস্ট দেখেছি। সেখানেই আমি পুরোটা লিখেছি।
এ প্রস্তাব কে দিয়েছে? আপনি তার পরিচয় বলতে চান? না, এখনই বলতে চাচ্ছি না। তবে তাদের মুখোশটা খুলে দেওয়া উচিত। মিডিয়ায় আমরা যারা কাজ করি, আমাদের যে কেউ কেউ কী মনে করে, ভাবতে অবাক লাগে। কীভাবে পারে তারা এমন আপত্তিকর প্রস্তাব দিতে? আমরা কি নিজেদের সম্মান নিয়ে মিডিয়ায় কাজ করতে পারব না?
কোনো নাটকের প্রযোজক বা পরিচালক? না, এটা বিজ্ঞাপনচিত্রের ঘটনা। যার পণ্যের বিজ্ঞাপন তৈরি হবে, তিনিই। আমি কিন্তু অনেক বড় বড় ব্র্যান্ড আর নামী সব বিজ্ঞাপনচিত্রনির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করেছি। তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে যে সম্মান আর শ্রদ্ধা পাই, তখন নিজেকে ধন্য মনে করি। তাদের প্রতি আমারও শ্রদ্ধা বেড়ে যায়।
আপনি বলছেন, ‘এটা কি অপেশাদারিত্ব?’ এ ধরনের কোনো কথা শুনেছেন? হ্যাঁ, ‘আপত্তিকর’ প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় আমি অপেশাদার! এখন তারা আমাকে ফাঁসাতে চাচ্ছে। বিভিন্নজনকে ফোন করে আমার ব্যাপারে উল্টা–পাল্টা বলছে। ওই কথা শোনার পর তাদের সঙ্গে কাজ করার কোনো মানসিকতা বা ইচ্ছা আর অবশিষ্ট থাকে? দোষ করবে তারা, অপরাধ করবে তারা; আবার আর্টিস্টকেই দোষ দেবে?
বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিংয়ের জন্য মানিকগঞ্জ কবে যাওয়ার কথা ছিল? বুধবার।
আপনি এখন আবার বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করছেন? ৩ মাসের মধ্যে আমি নয়টি গুরুত্বপূর্ণ ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনচিত্রের কাজ করেছি। এই যেমন বাংলালিংক, ডাবর, প্রাণ, তিব্বত, ইগলু, ডিপ্লোমা, জিগো, একটি আবার ফ্রোজেন ফুডের।