সাতক্ষীরা

আশাশুনির মরিচ্চাপ রিভারভিউ কেওড়া পার্ক দর্শণার্থীদের পদচারণায় মুখরিত

By daily satkhira

December 22, 2019

আসাদুজ্জামান ঃ সাতক্ষীরার আশাশুনি মরিচ্চাপ বেইলি ব্রীজের পাশে সদ্য উদ্বোধনকৃত মরিচ্চাপ রিভারভিউ কেওড়া পার্ক ও শেখ রাসেল শিশু কর্ণার দর্শণার্থীদের পদ চারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। উপজেলার একমাত্র উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্র হিসাবে পার্কটিকে গড়ে তোলা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে পার্কটিকে সৌন্ধর্যমন্ডিত করার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। মরিচ্চাপ নদীর চরভরাটি জমিতে গড়ে তোলা পার্কটিকে কেওড়া বাগানের গোছালো গাছের পরিপাটি আকর্ষনীয় করে রেখেছে। সাতক্ষীরা শহর থেকে সড়ক পথে আশাশুনি আসতেই চাপড়া গ্রামের শেষ সীমানায় বিশাল কেওড়া গাছের সুদৃশ্য বাগান চোখে পড়বে। এখানে শিশুদের বিনোদনের জন্য রয়েছে শেখ রাসেল শিশু কর্ণার। শিশু কর্ণারে শিশুদের খেলাধুলার জন্য দোলনা, ঢেকিকল, বাচ্চাদের ঘুর খাওয়া হ্যান্ডি চেয়ার, আনন্দ দায়ক উচু থেকে নিচের নামার স্লিপার বসানো হয়েছে। এছাড়া কেওড়া পার্কের বিভিন্ন প্রান্তে বসানো হয়েছে কাঠ ও প্লাস্টিকদ্বারা নির্মীত বাঘ, হরিণ, জিবরা, কুমির, সাদা বগ ও বাচ্চা ছানাসহ নানা প্রাণি। পার্কের ভিতরে সড়কের পথিমধ্যে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে বসার স্থান। পরিবার পরিজন নিয়ে সবুজ মনোরম পরিবেশে বসার জন্য কেওড়া পার্কের ভিতরে তৈরী করা হয়েছে বাঁশের সড়ক ও ছোট গোলঘর। বাহারী রং ও হাতে তৈরী বিভিন্ন নকশায় সাজানো গোল ঘরে বসেই দেখা যাবে মরিচ্চাপ নদীর প্রাকৃতিক দৃশ্য। মনোরম এসব পরিবেশ উপভোগ করতে প্রতিদিন দর্শকদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠছে মরিচ্চাপ রিভারভিউ কেওড়া পার্ক। আশাশুনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম ও উপজেলা প্রশাসন কেওড়া পার্কটি দর্শকের কাছে আরও নান্দনিক ভাবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে পার্কটির উন্নয়নের লক্ষ্যে দর্শণাথীদের থেকে স্বল্প মূল্যের প্রবেশ মূল্য নেওয়া হচ্ছে। টিকিটের এ অর্থ পার্কটির উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান পার্ক উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ও বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান আ.ব.ম মোছাদ্দেক। পার্কের আগত দর্শনার্থীরা জানান, আশাশুনি উপজেলায় কোন নান্দনিক স্থান না থাকায় বাধ্য হয়ে জেলা ও জেলার বাইরে বিভিন্ন পিকনিক স্পটে পরিবার নিয়ে যেতে হতো। বর্তমানে আশাশুনি মরিচ্চাপ নদীর তীরে সবুজ শ্যামল মনোরম পরিবেশে মরিচ্চাপ রিভারভিউ কেওড়া পার্কটি নির্মান করায় প্রায় প্রতিদিন পরিবার ও শিশুদের নিয়ে পার্কে ঘুরতে আসছি।