নিজস্ব প্রতিনিধি : খনন পর কেমন হবে সাতক্ষীরা প্রাণসায়র খাল। তা নিয়ে শহরবাসীর মধ্যে নানা সংশয় রয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বলেছেন খাল খননে কোন অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডও প্রি-ওয়ার্ক অনুযায়ী খাল খননে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারপরও জনমনে নানা সংশয় রয়েছে। এ সংশয় দূর করতে খননের পরে খাল কেমন তা সাতক্ষীরাবাসীর দেখানো জন্য মডেল (উদাহরণ) হিসেবে পাকাপুল হতে স্টেডিয়াম ব্রীজ পর্যন্ত খননের কার্যক্রম শুরু করেছেন। সংশয় দূর করতে তদারকি কমিটিসহ নাগরিক নেতৃবৃন্দের দাবি ছিলো খালের শহরাংশে একটি মডেল (উদাহরণ) হিসেবে কিছু অংশ খনন করা হোক। এ লক্ষ্যে সোমবার সকালে ক্রাস বাধ দেওয়া হয়েছে। পানি পুরোটাই শুকানোর পরে পি-ওয়ার্ক অনুযায়ী খাল খনন করে একটি মডেল দেখানো হবে এবং সে অনুযায়ী ১২ কিলোমিটার খাল খনন করা হবে। এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, খালটি খননের পরে কেমন হবে তা নিয়ে সাতক্ষীরাবাসীর মধ্যে সংশয় রয়েছে। যে কারণে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মহোদয় এবং নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের নেতৃবৃন্দ শহরের কয়েক কিলোমিটার খাল শুকিয়ে খনন করে মডেল হিসাবে উপস্থাপন করার দাবি জানিয়ে আসছিল। সে দাবির ভিত্তিতেই আমরা সোমবার ক্রাস বাধ দিয়েছি। পানি সেচের খাল শুকিয়ে প্রি ওয়ার্ক অনুযায়ী খনন করা হবে। যেটি খননের পরে মানুষের মনের সংশয় দূর হবে বলে তিনি মনে করেন। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, সাতক্ষীরাবাসীর মধ্যে খাল খননের বিষয়ে একটি ভ্রান্ত ধারনা রয়েছে। সেটি দূর করার জন্য এধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওই স্থানটুকু খনন করে একটি মডেল (উদাহরণ) তৈরি করা হবে। সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম বলেন, এ দাবি শুধু আমাদের ছিলো না। সাতক্ষীরাবাসীর ছিলো। শহরাংশে খালটি মূল ডিজাইন অনুুযায়ী খনন করা হলে খালের কোথায় কেমন খনন করা হবে তার একটি স্বচ্ছ ধারণা পাবে সাতক্ষীরাবাসী।