বিদেশের খবর: নাগরিক তালিকা (এনআরসি) এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে বিতর্ক শেষ হওয়ার আগেই ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার বা জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জী (এনপিআর) শুরু করতে যাচ্ছে বিজেপি সরকার। এই এনপিআরকে বলা হচ্ছে এনআরসি এবং সিএএ’র প্রথম ধাপ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এনপিআর আপডেট করতে ৮,৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে ভারদের কেন্দ্রীয় সরকার। জাতীয় স্তরে এনআরসি কার্যকর করার ভাবনা প্রয়োগ করা করতে গেলে তার ভিত্তি হবে এই এনপিআর। এই ভাবনা ঘিরেই এনপিআর নিয়ে মানুষের মনে সংশয় তৈরি হয়েছে।
এবার এনপিআরে নতুন কিছু নিয়ম শঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, এখন থেকে এনপিআর করে ন্যাশনাল আইডেনটিফিকেশন নম্বর (এনআইএন) পেতে হলে বাবা-মায়ের জন্মস্থান কোন দেশে সেটি উল্লেখ করতে হবে। এই নিয়ম আগে ছিল না। বিদেশি খুঁজে বের করতে এটি করা হচ্ছে। ২০২০ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আদমশুমারি এবং এনপিআর পরিমার্জনের কাজ শুরু হবে। চলবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
ভারতজুড়ে বিক্ষোভের মুখে মোদি সরকার বলছে এনআরসির বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সরকারি কর্তারা বলছেন, এনপিআরের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতে সর্বভারতীয় এনআরসি তৈরি হতে পারে। এনপিআরে ভারতের বাসিন্দাদের নাম নথিভুক্ত করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু সেখানে নাগরিকত্ব যাচাই করা হয় না। ২০১১ সালে যখন প্রথমবার এনপিআর তৈরি হয়, তখন ১৫টি বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছিল। এ বার ২১টি তথ্য চাওয়া হবে। বাবা-মায়ের জন্মের স্থান, তারিখ ছাড়াও শেষ ঠিকানা, পাসপোর্ট, আধার, প্যান, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার কার্ড, মোবাইল নম্বর চাওয়া হতে পারে। এনপিআর থেকেই যে এনআরসির ভিত তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে, এই সব তথ্য সংগ্রহ করা থেকে তার ইঙ্গিত মিলছে বলে মনে করছে দেশটির গণমাধ্যম।