নিজস্ব প্রতিবেদক : মোটা অঙ্কের অর্থের আশায় আইন অমান্য করে গহীন সুন্দরবন থেকে স্যাটালাইট লাগানো কচ্ছপ ধরে আনলেন। ভাবলেন এটি বিক্রয় করে অনেক অর্থ হাতিয়ে নিবেন। কিন্তু গাবুরার কুখ্যাত নুরির সে গুড়ে বালি দিলেন স্থানীয় প্রশাসন। জিপিএস এ লোকেশন ট্রাকের ধরার পড়ার ভয়ে রাতের আধারে ফেরত দিয়ে এ যাত্রা রক্ষা পেলেন তিনি। গত ২১ ডিসেম্বর এ অপকর্ম করেন গাবুরা ইউনিয়নের চাঁদনীমুখী গ্রামের মৃত, জাফর আলীর পুত্র একাধিক মামলার আসামী আব্দুর নুর ওরফে নুরি। স্থানীয়রা জানান গত ২১ ডিসেম্বর ১৯ তারিখে গহীন সুন্দরবন থেকে স্যাটালাইট লাগানো কচ্ছপ ধরে নিয়ে আসেন নুরি। কচ্ছপের পিছনে থাকা স্যাটালাইটটির নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বুঝতে পারেন কচ্ছপটি আটক করা হয়েছে এবং কচ্ছপটি গাবুরা ইউনিয়নের কোন এক স্থানে আটকে রাখা হয়েছে। বিষয়টি অবগত হয়ে নিলডুমুর নৌ পুলিশ, ফরেস্ট অফিসারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উক্ত ইউনিয়নে হাজির হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে জানান। চেয়ারম্যান মাইকিং করে কচ্ছপটি দ্রুত ইউনিয়ন পরিষদে ফেরৎ দেওয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু নুরি সেটি ইউনিয়ন পরিষদে ফেরৎ না দিয়ে গোপন রাখার চেষ্ঠা করেন। প্রশাসনের নেতৃবৃন্দ জিপিএস এর মাধ্যমে লোকেশন ট্রাকিং শুরু করলে নুরি আর কোন উপায় না পেয়ে ফরেস্ট অফিসের এস ও এর কাছে জমা দেন। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহারিত এই কচ্ছপটি নিয়ে তালবাহনা করলেও দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেন এলাকাবাসী। তারা অবিলম্বে আইন অমান্যকারী ঐ নুরির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান। এ বিষয়ে গাবুরা ইউপ চেয়ারম্যান জি এম মাসুদুল আলম কচ্ছপ আটকের সত্যতা শিকার করে বলেন কচ্ছপটি উদ্ধারের জন্য আমরা মাইকিং করলেও সেটা পরিষদে ফেরৎ দেয়া হয়নি। অথচ রাতের আঁধারে ঐ নুরি কচ্ছপটি ফেরৎ দিলেন ফরেস্ট অফিসে। অত্র এলাকায় সংগঠিত বহু অপকর্মের হোতা ঐ নুরি। তার বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মারপিটসহ একাধিক মামলা রয়েছে।এ ব্যাপারে নুরের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে শ্যামনগর বুড়িগোয়ালীনী ফরেস্ট অফিসের এস ও বিল্লাল হোসেন কচ্ছপের আটকের সাথে নুরির সম্পৃক্ত থাকার কথা অস্বিকার করে বলেন জিপিএস এর মাধ্যমে এটি উদ্ধার করা হয়েছে। এটি কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে আটক করেনি।