সাতক্ষীরা

স্বামী স্ত্রী মার খেলেও মামলা হয়নি উল্টো জেল খাটছেন শ্যামনগরের কৃষ্ণপদ গায়েন

By daily satkhira

December 25, 2019

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের জেলেখালি গ্রামের গাঁজাখোর যুবক হরিদাস মন্ডলের সাথে ১৯ ডিসেম্বর দিন দুপুরে একই গ্রামের বিউটি মৃধার অসামাজিক কাজ হাতেনাতে ধরা পড়ে । এ ঘটনায় গ্রামের লোকজন হরিদাস ও বিউটিকে উত্তম মধ্যম দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হরিদাস , ধনঞ্জয় ও দেবাশীষ গায়েন বিনা কারণে আমার স্বামী কৃষ্ণপদ গায়েনকে মারধর করে। তাকে ঠেকাতে গেলে হামলার শিকার হন বিনাপাণি নিজেও। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে ্ একথা বলেন জেলেখালি গ্রামের কৃষ্ণপদ গায়েনের স্ত্রী বিনাপািণ। তিনি বলেন এ ঘটনায় আমরা থানায় অভিযোগ দেই । পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পেলেও আমাদের মামলাটি রেকর্ড করে নি। উল্টো প্রতিপক্ষের বিউটি মৃধার দেওয়া ভুয়া মামলাটি রেকর্ড করেছে পুলিশ।আর এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে আমার স্বামী কৃষ্ণপদকে। তিনি এর প্রতিকার দাবি করেন । বিনাপাণি বলেন স্বামীকে রক্ষা করতে গেলে হরিদাস মন্ডল, বিউটি মৃধা, গিরেন গায়েন,দুর্গা রপ্তান,তেজেন মন্ডল, দিনেশ মন্ডল, দেবী মন্ডল, ভূপতি মৃধা ও মন্দিরা মন্ডল আমাকে আমার স্বামী ও তপন গায়েনকে লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে থাকে। আমি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। হাসপাতালে ভর্তি হতেও বাধা দেয় তারা। অথচ পুলিশ আমাদের দেওয়া মামলা না নিয়ে প্রতিপক্ষের সাজানো মামলা নিয়ে আমাদের হয়রানি করছে। তিনি বলেন পুলিশ তাদের বলেছে ‘উপরের চাপ আছে, তাই তোমাদের মামলা রেকর্ড করা যাবে না। এ ব্যাপারে তিনি পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। বিনাপানি বলেন আতরজান মহিলা কলেজের শিক্ষক সমীর রঞ্জন গায়েনকে হেনস্থা করার জন্য ২০১২ সালে নড়াইলের একটি আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি সাজানো মামলা করে হরিদাস মন্ডল ও তার সহযোগীরা। এই মামলার ওয়ারেন্ট আনা হয় ২০১৯ সালে। খোঁজ নিয়ে দেখা গেল সে মামলা খারিজ এবং সমীর রঞ্জনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। বিনাপাণি বলেন এসব ঘটনায় আমার স্বামী কৃষ্ণপদ সমীর রঞ্জনকে নীতিগত সমর্থন দিয়ে আসছিলেন। এসব নিয়ে ঝগড়াঝাটিও কম হয়নি। এরই জেরে হরিদাস ও বিউটি নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে আমার স্বামীকে জেলে পাঠিয়েছে। সমীর রঞ্জন এসবের প্রতিবাদ করায় তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। এই হরিদাস, রথীন রপ্তান, দেবাশীষ গায়েন ও বিউটি মৃধা এলাকার উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের মাদক ও অনৈতিকপথে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বিনাপানি এর প্রতিকার দাবি করে পুলিশ সুপারের সহযোগিতা চেয়েছেন।