ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কালিগঞ্জ : কালিগঞ্জের বসন্তপুর ইউনিয়ন বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় ভূমি কর্মকর্তা ও উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে মারধর ও মোটর সাইকেল ভাংচুর করায় দুই নারীসহ তিন জনকে ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। কারদ- প্রাপ্তরা হলেন দেবাড়িয়া গ্রামের সাহাজুদ্দীন গাজীর ছেলে জাহাঙ্গীর গাজী (৩৫), তার স্ত্রী মাহফুজা বেগম (৩০) এবং ভাই কাদের গাজীর স্ত্রী রিজিয়া খাতুন (৩০)। উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দেবাড়িয়া চাঁদকাটি মৌজায় ১৯৭৪ সালে ১২ দশমিক ৫০ একর জমি ডিসিআর নিয়ে ভোগদখল করছিলেন দেবাড়িয়া গ্রামের মইজুদ্দীন গাজীর ছেলে দৌলত গাজী। প্রতিবছর ডিসিআর নবায়নের নিয়ম থাকলেও তিনি ওই নিয়মের তোয়াক্কা না করে জোরপূর্বক সরকারি সম্পত্তি ভোগদখল করছিলেন। রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার মুন্সীপাড়া এলাকার কওছার আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানকে নতুন করে ওই জমির ডিসিআর প্রদান করা হয়। নতুন ডিসিআর প্রাপ্ত ব্যক্তিকে জমি বুঝিয়ে না দিয়ে দৌলত গাজী প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক সরকারি জমি ভোগদখল করে আসছিল। বিষয়টি নিরসনের জন্য বসন্তপুর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা বাশারাত হোসেন, উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জিএম ফয়েজ আহম্মেদ, অফিস সহায়ক কাজী আলমগীর হোসেন ও ইমরান হোসাইন বৃহস্পতিবার ১২ টার দিকে দেবাড়িয়া চাঁদকাটি খালের উপরে নির্মিত সেতুর কাছাকাছি স্থানে পৌছালে জাহাঙ্গীর গাজী, মাহফুজা বেগম, রিজিয়া খাতুন সহ তাদের সহযোগীরা ভূমি কর্মকর্তা ও অফিস সহায়কদের উপর হামলা করে। তাদের হামলায় জিএম ফয়েজ আহম্মেদ আহত হন। এসময় দুর্বৃত্তরা তাদের ব্যবহৃত মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। এই সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর আহম্দ মাছুম, সার্ভেয়ার হাওলাদার শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লস্কর জায়দুল হকের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে এলাকাবাসীর সহায়তায় দুই নারীসহ তিন জনকে আটক করতে সক্ষম হয় কিন্তু অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান হামলা ও ভাংচুরের অপরাধে জাহাঙ্গীর গাজীকে ২ বছর এবং মাহফুজা বেগম ও রিজিয়া খাতুনকে ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।