জাতীয়

‘প্রক্টরের হস্তক্ষেপে সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব’

By Daily Satkhira

December 26, 2019

দেশের খবর: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানীর প্রত্যক্ষ মদদ ও হস্তক্ষেপে ডাকসু ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

বুধবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বাইরে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘প্রথম দফায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ আমাদের ওপর হামলা করে। এ ঘটনার পর আমি প্রক্টর স্যারকে অন্তত দশবার ফোন করি। এর মধ্যে তিনি তিনবার আমার ফোন ধরেছিলেন। তিনবারই তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছিলেন। এক পর্যায়ে আমি ডাকসুর কেউ না হয়েও ওখানে কী করি- এ কথা জিজ্ঞেস করেন। আমি তাকে বলেছিলাম, শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো জায়গায় যাওয়ার অধিকার আমার আছে। এটি বলার পরও প্রক্টর স্যার আমাকে গালিগালাজ করেছিলেন। বারবার কাকুতি-মিনতি করার পরও তিনি ঘটনাস্থলে আসেননি। যখন দ্বিতীয় দফা হামলা হয়, তখন তিনি ঘটনাস্থলে আসেন। ইচ্ছাকৃতভাবেই তিনি আমাদের মার খাইয়েছেন। প্রথম দফা হামলার পর তিনি আমাদের উদ্ধার করলে আজকে এত ছাত্রকে এভাবে নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হতো না।’

তিনি বলেন, ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা সবাই মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মী। অথচ হামলার ঘটনায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। তাদের এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি।

এ সময় রাশেদ খান বলেন, সনজিত ও সাদ্দামকে বাঁচাতেই ডাকসু ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব করা হয়েছে। প্রক্টরের হস্তক্ষেপে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগ সিসিটিভি সরিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন তিনি।

পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, আমরা ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে মঙ্গলবার শাহবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। বুধবার সকালে থানা থেকে বলা হয়েছে, আমাদের অভিযোগটি মামলা আকারে সংযুক্তির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগটি মামলা হিসেবে নেওয়ার আবেদন জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা মাহফুজুর রহমান ও মশিউর রহমান। এ সময় তারা প্রক্টরকে পদত্যাগ, সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করে তা প্রকাশ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকারি খরচে আহতদের চিকিৎসা এবং ভিপি নুরসহ সবার নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি জানান।

অভিযোগ বিষয়ে প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, হামলার এ ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় একটি কমিটি গঠন করেছে। যার যা বলার আছে, সেই কমিটির কাছেই বলবেন।