আজকের সেরা

অস্ত্র ও পর্ণোগ্রাফিসহ ৩ মামলায় সাতক্ষীরার শীর্ষ সন্ত্রাসী সাদিক ৪ দিনের রিমান্ডে

By Daily Satkhira

December 26, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক: অস্ত্র ও পর্ণোগ্রাফিসহ তিনটি মামলায় সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগেরজেলা ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাতক্ষীরা জেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি ও ব্লাকমাইলিং সিন্ডিকেটের হোতা সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিকসহ তিন জনের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক রেজওয়ানুজ্জামান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালত শুনানি শেষে অস্ত্র মামলায় দুইদিন এবং পর্ণোগ্রাফির দুটি মামলায় একদিন করে মোট চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সাদিক ছাড়াও অন্য দুই রিমান্ড মঞ্জুরকৃত আসামিরা হলেন, কথিত সাংবাদিক আকাশ ইসলাম ও পিচ্চি রাসেল। সাতক্ষীরা সদর থানায় দুই জন জনপ্রতিনিধির দায়েরকৃত পর্ণোগ্রাফী আইনের দুটি মামলা ও ডিবি পুলিশের এসআই মনিরুল ইসলামের দায়েককৃত একটি অস্ত্র মামলায় রিমান্ড শুনানির শেষে আদালত তাদের এই চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কাঠগড়ায় দাড়িয়ে জেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী সাদিক উচ্চস্বরে কাঁদছিলেন ও কালেমা পড়েছিলেন। অথচ এই আতিকের সামনে কান্নাকাটি করে বহু সাধারণ মানুষ তার অত্যাচার থেকে নিষ্কৃতি পায়নি। প্রসঙ্গত, গত রবিবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাদিককে হাজির করলে বিজ্ঞ বিচারক শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন। উল্লেখ্য, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বিকাশের ২৬ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাদিকের দুই সহযোগী সাইফুল ও দ্বীপ গত ৩০ নভেম্বর পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এ ঘটনায় সাদিকসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়। এরপর সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগরের ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ও সদর উপজেলার ঘোনা ইউনিয়ন এর ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মোশাকে নারী দিয়ে ভিডিও ধারণ করে ব্লাক মেইলিং করে মোটা অংকের টাকা আদায়ের অভিযোগে গত ১৫ ডিসেম্বর ওই দুই জন প্রতিনিধি বাদি হয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শীর্ষ সন্ত্রাসী সাদিক, চাঁদাবাজ সাংবাদিক ও আমারএমপিডটকমে সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির অ্যাম্বাসেডর আকাশ ইসলাম, সাংবাদিক মনিসহ তার ৫ সহযোগীর বিরুদ্ধে পর্ণোগ্রাফি আইনে সদর থানায় দুটি মামলা দায়ের করেন। এরপর গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা থেকে সাদিক ও তার ব্লাকমেইল কাজে ব্যবহৃত নারী সুমাইয়া শিমুকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর থেকে একে একে তার বিরুদ্ধে বেরিয়ে আসে ভয়াবহ তথ্য। দায়েরকৃত পর্ণোগ্রাফী আইনে ২টি মামলা, অস্ত্র ও মাদক আইনের দুটিসহ মোট ৪টি মামলা।