কালিগঞ্জ

কালিগঞ্জে ভূমিহীন রহিমার উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

By daily satkhira

December 26, 2019

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার যমুনা নদীর চরে বসবাসরত ভূমিহীন রহিমা খাতুনের কাছে এক লাখ টাকা দাবির প্রতিবাদ করায় তাকে পিটিয়ে জখম করায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে। বৃহষ্পতিবার দুপুর ১২টায় কালিগঞ্জ সদরে এসব কর্মসুচি পালিত হয়। কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন কর্মসুচি চলাকালে বক্তব্য দেন নির্যাতিত ভূমিহীন রহিমা খাতুনের ছেলে সাইফুল ইসলাম, তার ভাই অব্দুস সোবহান,, ভূমিহীন নেতা আতিয়ার রহমান, মহব্বত আলী, আঞ্জুয়ারা খাতুন, নার্গিস পারভিন,মানবাধিকার কর্মী রঘুনাথ খাঁ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, রহিমাসহ কয়েক’শ ভূমিহীন দীর্ঘদিন ধরে কালিগঞ্জের চরযমুনা নদী ভরাট জমিতে বসবাস করে আসছেন। এ নদী খননের নামে উপজেলা চেয়ারম্যান ভূমিহীনদের জায়গা দেওয়ার নামে টাকা তুলছেন। ভূমিহীন রহিমার কাছেও উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী, তার ছেলে অনিক মেহেদী ও আটুলসহ একটি সন্ত্রাসী মহল এক লাখ টাকা চান। টাকা চাওয়ার বিষয়টি তিনি বুধবার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন। বিষয়টি জানতে পেরে ওই দিন বিকেল তিনটার দিকে মথুরেশপুর ইউনিয়নের দুদলী নতুনহাটখোলা সবজি চাতালে সাঈদ মেহেদী ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা এলোপাতাড়ি মেরে জখম করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতে রহিমাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দিতে হবে। একইসাথে মাদক ও নারী কেলেঙ্কারীর সঙ্গে জড়িত সাঈদ মেহেদীর অনিয়ম ও দূর্ণীতির তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রি বরাবর এক স্মারকলিপি দেন। এর আগে প্রায় এক হাজার ভূমিহীন নারী পুরুষ ও শিশু কালিগঞ্জের সোহরাওয়ার্দী পার্ক থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে যেয়ে শেষ হয়। জানতে চাইলে কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী বলেন, তার বিরুদ্ধে রহিমা খাতুন সাংবাদিকদের কাছে টাকা চাওয়ার মিথ্যা অভিযোগ করেছে। যমুনা খনন নিয়ে কথা বলার একপর্যায়ে রহিমা পা পিছলে পড়ে যেয়ে আহত হয়েছে। তাকে মারপিটের অভিযোগ ঠিক নয়। কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দোলোয়ার হুসেন বলেন, রহিমার উপর হামলার ঘটনায় তার ছেলে বৃহষ্পতিবার একটি এজাহার দিয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#