বিদেশের খবর: রোহিঙ্গাদের নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে নিন্দা প্রস্তাব পাস হয়েছে। এই প্রস্তাবের পক্ষে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ১৯৩ সদস্যের মধ্যে ১৩৪ জন ভোট দিয়েছে এবং মিয়ানমারের সরকারকে রাখাইন, কাচিন ও শান রাজ্যে রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণা উস্কানি দেওয়ার বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
একই অধিবেশনে সাধারণ পরিষদ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে গঠিত ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইনভেস্টিগেটিভ মেকানিজম ফর মিয়ানমার (আইআইএমএম) নামের একটি স্বাধীন কমিশনের জন্য নিয়মিত বাজে বরাদ্দ অনুমোদন করে। জাতিসংঘ মানাবাধিকার পরিষদ ৩৯/২ প্রস্তাবনার মাধ্যমে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে কমিশনটি গঠন করে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের কোনও প্রস্তাব মানতে আইনত বাধ্য নয় কোনও দেশ, তবে এসব প্রস্তাব বিশ্বের সকল দেশের কোনও একটি বিষয় নিয়ে নিজস্ব মতামত ও অবস্থানের প্রতিফলন। বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারের দাবি রাখাইনে বসবাসরত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে যাওয়া বাঙালি, তারা দেশটির নাগরিক নন।
যুগের পর যুগ ধরে বসবাস করে আসলেও ১৯৮২ সাল থেকে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব বাতিল করে তাদের রাষ্ট্রহীন বানায়। এছাড়া তাদের আন্দোলন করার স্বাধীনতা খর্ব করে তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে আসছে মিয়ানমার সরকার। তাদের বিরুদ্ধে নানাভাবে নির্যাতন চালায় দেশটির স্থানীয় বাসিন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনী।
তবে রোহিঙ্গা সংকট শুরু হয় ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট। দেশটির সামরিক বাহিনী রাখাইন প্রদেশে নির্বিচারে গণহত্যা, ধর্ষণ, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়ার মাধ্যমে নিধন রোহিঙ্গা নিধন অভিযান শুরু করলে জীবন বাঁচাতে প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। তারা এখনো তাদের মাতৃভূমিতে ফিরতে পারেনি।