ফিচার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লার ভূমিকা অনস্বীকার্য -সেমিনারে বক্তারা

By Daily Satkhira

December 28, 2019

আসাদুজ্জামান: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠায় খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লার অবদান ও সম্পৃক্ততা ছিল অনস্বীকার্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশের ইতিহাস অভিন্ন। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রায় সব আন্দোলনই অঙ্কুরিত হয়েছিল ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের মেধাবী প্রাঙ্গণে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর শুভক্ষণে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম। একটি জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে প্রাচীন, ঐতিহ্যবাহী ও জ্ঞান চর্চার প্রধান বাতিঘর হিসেবে এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক পালাবদলের প্রধানতম কেন্দ্র হিসেবে বিগত একশ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পথচলায় রয়েছে বৈচিত্রময় আড়ম্বর।

শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরার নলতায় কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশন প্রতিষ্ঠাতা খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লার ১৪৬তম জন্মবার্ষিকী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ভুমিকা শীর্ষক এক সেমিনারের বক্তারা এসব কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক এম.পির সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর রশিদ আসকারী। সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষক ড. আবদুল মজিদ, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল, নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের প্রাক্তন সভাপতি আলহাজ্জ মুহাম্মদ সেলিমউল্লাহ,সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ হাবিবুর রহমান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মজিবর রহমান, কোলকাতা আহছানিয়া মিশনের সভাপতি অধাপক গোলাম মহিউদ্দীন। খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ইনস্টিউিটের পরিচালক মো. মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের পরিচালক ইকবাল মাসুদ, খানবাহদুর আহ্ছানউল্লা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এ.এফ.এম এনামুল হক, কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসেল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ মো. এনামুল হক।

বক্তারা আরো বলেন, অবিভক্ত বাংলার শিক্ষা বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার একবারে সূচনালগ্ন হতে প্রতিষ্ঠার দিন পর্যন্ত প্রত্যক্ষ, বলিষ্ঠ-সাহসী ভূমিকা পালন করেছিলেন খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা।

অনুষ্ঠান শেষে সেখানে ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদের লেখা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা পর্বে খানবাহাদুর আহছান উল্লার ভুমিকা এবং এ.এফ.এম এনামুল হকের লেখা খানবাহাদুর আহছানউল্লা রচনা অভিধান নামক দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।