তালা প্রতিনিধি : শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে তালার বহুল আলোচিত বারাত-মির্জাপুর বিলের সাড়ে ১১শ বিঘা ঘের’র কাজীডাঙ্গা এলাকার একটি টোং ঘর শত্রুতামূলক ভাবে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘের মালিক এস.এম. মহব্বত হোসেন প্রতিপক্ষ মোস্তাক-মধু গংদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। সূত্রে জানা যায়, মির্জাপুর, বারাত, কাজীডাঙ্গা, ভবানীপুর, খরাইল মৌজার আনুমানিক সাড়ে ১১শ বিঘা জমিতে বিগত ৫বছর ধরে কেশবপুর উপজেলার এস. এম. মঞ্জরুল ইসলাম ঘের করে আসছেন। চলতি বছর ঘেরের ডিড’র মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিনি জমিদাতাদের সাথে আগামী ৫ বছরের জন্য নতুন করে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে মঞ্জুরুল ইসলামের কাছ থেকে উক্ত ঘের গোপালগঞ্জ ব্যাংকপাড়ার আব্দুল মান্নান খানের পুত্র রাজু উদ্দীন খান ও কেশবপুর যশোর পাজিয়ার নারায়ানপুর গ্রামের আজিজ সরতারের পুত্র এস এম মহব্বত লিজ নিয়ে মাছ চাষের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। কিন্তু কেশবপুরের আব্দুল সামাদ সরদারের পুত্র মোস্তাক আহম্মেদ ও খোরশেদ সরদারের পুত্র কামরুজ্জামান মধু এই ঘের দখল করার জন্য চেষ্টা করায় দুই পক্ষের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ঘের মালিক মহব্বত হোসেন জানান, ঘের জোর দখলের বিরোধকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে কাজীডাঙ্গা এলাকার ঘের পাহারা দেওয়ার টোং ঘরটি ৭/৮ জনের একটি সংঘবন্ধ চক্র আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ বিষয়ে ঘরের ম্যানেজার জহুরুল ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে দেখতে পান হঠাৎ মুল ঘরের পশ্চিম দিকের একটি টোং ঘরে আগুন জ্বলছে। তিনি সেখানে যেয়ে দেখেন পার্শ্ববর্তী আম বাগানে বারাত গ্রামের সোবহান মাস্টার ও তার দু’পুত্রসহ আরো বেশ কয়েজন দাঁড়িয়ে রয়েছে। এ ব্যাপারে ঘের মালিকের ভাগ্নে এম এম আজিজ জানান, পূর্ব শক্রতার জের ধরে মোস্তাক-মুধু স্থানীয় সোবহান আলীর সহযোগিতায় এ ধরনের কাজ করা হয়েছে। এঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।