ভিন্ন স্বাদের খবর: রাজধানীর হাতিরঝিলে সম্প্রতি নজর কাড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর পারফর্মিং আর্ট। এ নিয়ে ইতিবাচক-নেতিবাচক দুই ধরনের প্রতিক্রিয়াই পাওয়া গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। অনেকেই ‘ফ্রম পোর্টফোলিও অব ডগডনেস’ শিরোনামের ওই পারফর্মিং আর্টের ছবি পোস্ট করছেন ফেসবুকে। একই ধাঁচের এই পারফর্মিং আর্ট প্রথম দেখা যায় অস্ট্রিয়ার ভিয়েনার প্রকাশ্য রাস্তায় ১৯৬৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ভ্যালি এক্সপোর্ট ও পিটার উইবেল সেই পারফর্মিং আর্টে অংশ নেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় একই ধাঁচের পারফর্মিং আর্ট দেখা গেছে বিশ্বের বিভিন্ন শহরের রাস্তায়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে হাতিরঝিলে করা পারফর্মিং আর্টের শিল্পীরা ছিলেন টুটুল চৌধুরী ও সেঁজুতি। সেঁজুতি এটিকে ‘সমাজতাত্ত্বিক’ ও ‘আচরণমূলক’ কেস স্ট্যাডি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পেইন্টিং ও ড্রয়িংয়ের শিক্ষার্থী।
সেঁজুতি বলেন, এই পারফর্মিং আর্টের উদ্দেশ্য, কার্টুনে যেমন বিভিন্ন প্রাণীকে মানুষের মতো কথা বলা ও আচরণগতভাবে দেখানো হয় তেমনি এখানে মানুষকে প্রাণী চরিত্রে দেখানো হয়েছে। সেঁজুতি জানান, এই ছবিতে একজন নারী একজন পুরুষকে গলায় রশি বেঁধে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা যে কাজটা করেছি এই কাজের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি এবং এই কাজটাকে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিয়েছে সেটাই আমরা দেখতে চেয়েছি।