স্বাস্থ্য ও জীবন: শীত কাঁপছে পুরো দেশ। হিমেল হাওয়ায় বাইরে বের হওয়া যেমন বেশ কষ্টসাধ্য, তেমনি ঘরে থাকাও স্বস্তিদায়ক নয়। এই অবস্থায় আপনাকে নিজে থেকেই শরীর গরম রাখার সব চেষ্টা করতে হবে। একাধিক গরম কাপড় পরা, গরম কফি-চা পান করা, আগুন বা রুম হিটারের সামনে বসে থাকা, কত চেষ্টাই করি আমরা এই শীতে। তবে এতসব উদ্যোগের মাঝে একটি সাধারণ উদ্যোগও নেয়া জরুরি আমাদের। আর তা হলো শরীর গরম রাখতে সহায়ক খাবার খাওয়া। যেসব খাবারে ফ্যাট, প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট থাকে, সেগুলো হজম হতে সময় নেয়, এর ফলে শরীরে উত্তাপ তৈরি হয়। শীতে এমনই কিছু খাবার নিয়মিত খেয়ে সুস্থ থাকতে চেষ্টা করুন।
মাটির তলার সবজি:
যেসব সবজি মাটির নিচে জন্মায়, অর্থাৎ মূল আছে যেসব সবজিতে, সেগুলো হজম হতে প্রচুর শক্তির প্রয়োজন হয়। এর ফলে শরীরে প্রচুর উত্তাপ সৃষ্টি হয়। সে কারণে শীত থেকে বাঁচতে আলু, গাজর, মুলা, শালগম, বিটমূল এসব সবজি খান। এক্ষেত্রে পেঁয়াজও বেশ উপকারী।
বাদাম ও খেজুর:
বিভিন্ন ধরনের বাদাম, যেমন- চীনা বাদাম, কাজু বাদাম ও পেস্তা বাদাম এমনকি খেজুর শীতকালে বেশ উপকারী খাবার। কারণ এসব বাদাম ও খেজুর বিপাক প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে শরীরে তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
ফল:
শীতে আপেল, কমলা ও নারকেল খুব উপযোগী ফল। কারণ এসব ফলে প্রচুর আঁশ থাকে, যা হজম হতে সময় লাগে, যে কারণে শরীরে উত্তাপ বাড়ে।
ডিম ও মুরগি:
ডিম ও মুরগিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও আয়রন থাকে যা হজম হতে সময় নেয় এবং একই ভাবে শরীর উত্তপ্ত হয়ে উঠে সে সময়।
গুল্ম ও মসলা:
পরিচিত কিছু গুল্ম ও মসলা, যেমন- রসুন, আদা ও গোল মরিচ শরীরে উত্তাপ তৈরি করে। তাই এখন শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে উপরের কোনো না কোনো খাবার প্রতিদিন আপনার খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন।
মধু :
সর্দি, কাশি, ফ্লু ইত্যাদির বিরুদ্ধে লড়তে অনন্য এক উপাদান মধু। মিষ্টিজাতীয় খাবার হলেও মধুতে নেই বাড়তি ক্যালরির ঝামেলা। এছাড়া শরীর গরম রাখতেও বেশ উপকারী।
ঘি:
শীতকালে ভাতের সঙ্গে ঘি বা রুটির উপর ঘি মিশিয়ে খাওয়ার প্রবণতা বেশ জনপ্রিয়। ঘি শরীরকে গরম করে তোলে এবং শীতকালীন অসুস্থতা থেকে শরীরকে রক্ষা করে। সুতরাং শীতকালে খাবারের উপর ঘি ছড়িয়ে অথবা ঘি দিয়ে খাবার রান্না করলে তা শরীর গরম করতে সাহায্য করবে।