বিদেশের খবর: ভারতে বিতর্কিত ও ধর্মভিত্তিক নাগরিকত্ব আইন বাতিল দাবিতে চলমান বিক্ষোভের কারণে দেশটির পর্যটন শিল্পে ভয়াবহ ধস নেমেছে। এতে দেশটির অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি ডিসেম্বরে লাখো দেশি-বিদেশি পর্যটক ভারত ভ্রমণ বাতিল করেছে। এরমধ্যে প্রায় দুই লাখ পর্যটক তাজমহল ভ্রমণ বাতিল করেছে।
আলজাজিরা জানিয়েছে, ভারতের চলমান আন্দোলনের কারণে দেশটির পর্যটন শিল্পে নেমেছে ধস। বিরূপ প্রভাব ফেলছে অর্থনীতিতে।
চলতি ডিসেম্বরে তাজমহল দেখতে যাওয়ার কথা এমন দুই লাখের অধিক দেশি-বিদেশি পর্যটক তাদের ভ্রমণ বাতিল করেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
২০১৮ সালের হিসাব মতে, ভারতের জিডিপির ৯.২ শতাংশ অর্থাৎ ২৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হয় পর্যটন খাত থেকে।
আগ্রা টুরিজম ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, বিগত ছয় বছরের মধ্য এবারই সর্বনিম্ন পর্যটক আসছে।
গত বছরের ডিসেম্বরের তুলনায় এবারের ডিসেম্বরে তাজমহলে ৬০ শতাংশ দর্শনার্থী কমে গেছে। উত্তর প্রদেশ রাজ্যের আগ্রায় অবস্থিত তাজমহলে প্রতিবছর ৬৫ লাখ পর্যটক হয়।
আর এই রাজ্যেই নাগরিকত্ব আইনবিরোধী বিক্ষোভ তুমুল পর্যায়ে। উত্তর প্রদেশের আগ্রাসহ ভারতে অন্যান্য রাজ্যের কয়েকটি শহরে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ইন্টারনেট।
আসাম রাজ্যে ডিসেম্বরে পাঁচ লাখের মতো পর্যটক হয়, সেখানে এবারের ডিসেম্বর মাসে তা ৯০ শতাংশ কমে গেছে। অন্যদিকে গোয়ায় পর্যটন ব্যবসা অর্ধেকে নেমে এসেছে।
প্রসঙ্গত চলতি মাসের ১২ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাসের পর ভারতজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। আইনটিকে মুসলিমবিরোধী অ্যাখ্যা দিয়ে ভারতের অন্তত ১০টি রাজ্যে রক্তক্ষয়ী এই বিক্ষোভে প্রাণ ঝড়েছে অন্তত ২৫ জনের ।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ইসরাইল, সিঙ্গাপুর, কানাডা ও তাইওয়ান তাদের নাগরিকদের ভারত ভ্রমণে সতর্কতাও জারি করেছে।